জারি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। জম্মু-কাশ্মীরে ঘোষণা করা হয়েছে নতুন ভোটের নীতি। এসেছে কিছু বদল। বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে ভোট দিতে পারবেন ২৫ লাখ ভিন রাজ্যের ভোটার। সেই নিয়ম বিরোধীদের জন্য কতটা সুবিধা বা অসুবিধা হবে সেই ইয়েই এবার বৈঠকে বসছে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ডঃ ফারুক আবদুল্লাহ। শ্রীনগরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ডঃ ফারুক আবদুল্লাহর বাসভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ‘জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন ভোটারদের নিবন্ধন’ সংক্রান্ত সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। এনসি নেতা এএম সাগর বলেছেন, “আমরা দেখব এই আইন সম্পর্কে সব দল কী ভাবছে।” কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা হিরদেশ কুমারের সংশোধিত তালিকায় ভোটারদের সংযোজন সংক্রান্ত মন্তব্যের পরে ন্যাশনাল কনফারেন্স এই সর্বদলীয় ডেকেছে। তবে জম্মু ও কাশ্মীরে “অ-স্থানীয়দের ভোটার হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার” বিরুদ্ধে এনসি এবং পিডিপি-এর প্রচেষ্টাগুলি বড় ধাক্কা খেয়েছিল কারণ পিপলস কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সাজাদ গণি লোন বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। গণি লোন বলেছেন, “যদি এই প্রচেষ্টা (সর্বদলীয় সভা) গুরুতর হত, তবে এটি মিডিয়ার নজরে আসত না। এটা সিরিয়াস হলে আমরা দেখা করতাম এবং আপনি (মিডিয়া) এটা জানত না। আমি ফারুক আবদুল্লাহর রাজনীতির সাথে একমত নই তবে তার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা আছে।”
এবিষয়ে তিনি অভিযোগ করেন যে বৈঠকটি একটি পয়েন্ট-স্কোরিং অনুশীলন বলে মনে হচ্ছে এবং তিনি এটির অংশ হতে চান না। সাজাদ গণি বলেছেন, “একজন মহিলা (মেহবুবা মুফতি) সর্বদলীয় মিটিং ডাকেন এবং অন্যজন ফোনে ডাকেন। এছাড়াও, আমাকে বলুন, আমরা কতটা ভান করতে পারি? আমরা ২৪ ঘন্টা একে অপরকে রাজনৈতিকভাবে গালাগালি করি। আমি গতকাল তাদের গালি ছুঁড়েছি, তারা একদিন আগেও করেছে। আর কতদিন আমরা এমন ভান করতে পারি।” তাঁর কথায়, “মেহবুবাজি, তার (হারানো) জায়গা পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া, সর্বদলীয় সভা ডাকার জন্য নির্দেশ জারি করেছেন।” উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হৃদেশ কুমার নয়া নীতির কথা তুলে ধরে বলেছিলেন, এবার থেকে জম্মু-কাশ্মীরের ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন ভিনরাজ্য থেকে আসা চাকরিজীবী, ছাত্র, শ্রমিক-সহ অন্যান্যরা। ৩৭০ ধারা রদের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরে ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে বিগত ২০১৯ সালে।