কৃষক আন্দোলনের পর ফের একবার পথে নামছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা। আজ দিল্লির যন্তরমন্তরে মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনের তরফে। কৃ্ষি আইন প্রত্যাহার হলেও, কেন্দ্র বাকি প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করেনি, এই অভিযোগেই ফের একবার বিক্ষোভে পথে নামছেন কৃষকরা। রবিবার থেকেই রাজধানীতে পৌঁছতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। এদিকে কৃষকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে দিল্লিজুড়ে। রবিবার থেকেই দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সম্ভাব্য যানজট নিয়ে। অন্যদিকে সিঙ্ঘু সীমান্তেও কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ১০টা থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরে মহাপঞ্চায়েত শুরু হবে। প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার কৃষক আন্দোলনকারীর জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৪০ থেকে ৫০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই মহাপঞ্চায়েতে যোগ দেবেন। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহারের সময় কেন্দ্রের তরফে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হলেও, কৃষকদের বিদ্যুতের বিল মুকুব, কৃষকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করা সহ একাধিক দাবি এখনও পূরণ করা হয়নি। সরকার যাতে দ্রুত এই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করে, তার দাবিতেই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। এরপরও প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে, আরও বড় আন্দোলনের পথে ফের হাঁটবে কৃষকরা, এমনটাই কৃষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
এদিকে, অশান্তি এড়াতে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লি। সংযুক্ত কিসান মোর্চার মহাপঞ্চায়েতের কথা উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল সাধারণ মানুষদের বেশ কিছু পথ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই রাস্তাগুলি হল- টলস্টয় মার্গ, সংসদ মার্গ, জনপথ, কনৌট প্লেস, অশোক রোড, বাবা খড়ক সিং মার্গ ও পন্ডিত পন্থ মার্গ। বিশাল নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমান্তেও। মূলত এই দুটি সীমান্ত দিয়েই ভিন রাজ্য থেকে বিক্ষোভকারী কৃষকরা দিল্লিতে প্রবেশ করবেন। সীমান্তে অধিকাংশ ভাগই ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গতকালই আটক করা হয় কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতকে। রবিবার তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গাজিপুর সীমান্ত দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করতে গেলে, তাকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। মধুবিহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকেই কৃষক নেতা টুইট করে লেখেন, ‘এভাবে কৃষকদের কন্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করতে পারবে না দিল্লি পুলিশ’।