বিশ্বদরবারে চরম লজ্জার মুখে পড়ল মোদী সরকার। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে জাতপাত ভিত্তিক বৈষম্য, দারিদ্র্য এবং শিশুশ্রমিক একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। পাশাপাশি, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও দলিত মহিলাদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় এর ফলে তাঁরা নিজেদের পছন্দ মতো কোনও কিছু বেছে নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হন জীবনের নানান ক্ষেত্রে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দাসত্ব ও ঔপনিবেশিক শাসনের কারণে ভারতীয়রা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী দাসত্ব, তার কারণ এবং ফল নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ প্রতিবেদক তমোয়া অবোকাটা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বুধবার এক রিপোর্ট জমা দেন। সেই রিপোর্টেই ভারতের এই দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই বইছে সমালোচনার ঝড়।
উল্লেখ্য, অবোকাটার রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের সর্বত্র ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুশ্রমিক ছড়িয়ে রয়েছে। এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, আরব দুনিয়া, আমেরিকা, ইউরোপের শিশুদের ৪ থেকে ৬ শতাংশ শ্রমিক। আফ্রিকাতে মোট ২১.৬ শতাংশ শ্রমিকই শিশু। সবেচেয়ে বেশি, মোট ২৩.৯ শতাংশ শিশুশ্রমিক রয়েছে সাব-সাহারান আফ্রিকায়। আর ভারতের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের মধ্যে শিশুশ্রমিক বেশি রয়েছে, এমনঽই জানাচ্ছে এই রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সরকারি নীতি নির্ধারণের সময় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীগুলির স্বার্থ প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়, এছাড়াও তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রতিকারের সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ। কিছু সম্প্রদায়কে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে তারা পিছিয়ে পড়েছে, বলা হয়েছে রিপোর্টে। সংবাদমাধ্যম, পাঠ্যবই এমনকী ইন্টারনেটে তাঁদের সম্পর্কে ভুল ধারণা তুলে ধরা হয়েছে বলে তাঁরা বঞ্চিত হন ক্ষমতায়ন থেকে, বলছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্যগুলি আসার পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে একাধিক মহল।