একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর রাজ্যকে আরও শিল্পবান্ধব করে তোলার অঙ্কীকার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিশ্রুতিমতো সেই কাজেই এগিয়ে চলেছে রাজ্য। বাংলায় গড়ে উঠতে চলেছে আরও পাঁচটি নতুন বৃহৎ শিল্পতালুক। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে ১৮টি নতুন শিল্প ইউনিট তৈরি হতে চলেছে। ফলত বাংলায় বিপুল পরিমাণ নতুন বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গতকাল, অর্থাৎ ১৮ই আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন শিল্পতালুক এবং শিল্প ইউনিট গড়ার অনুমোদন মিলেছে। যার ফলে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে বাংলায়। রাজ্যে চার হাজার কর্মসংস্থান হবে বলেও জানা গিয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও রথীন ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যে নতুন শিল্পতালুক ও শিল্প ইউনিট গড়ার কথা ঘোষণা করেন। গতবছর পর্যন্ত রাজ্যে শিল্পতালুকের সংখ্যা ছিল ৬৪। ১৮টি বৃহৎ শিল্পতালুক তৈরি করেছে শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিল্পতালুক নিয়ে রাজ্য নয়া নীতি গ্রহণের পরেই শিল্পতালুক গড়ার জন্যে শতাধিক নতুন প্রস্তাব এসেছে। এখন পাঁচ একরেই শিল্পতালুক গড়ার অনুমোদন দিচ্ছে রাজ্য। ফলে শিল্পতালুক গড়ার জোয়ার এসেছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নতুন পাঁচটি বৃহৎ শিল্পতালুক গড়ার সিদ্ধান্তে বাংলায় আরও বিনিয়োগ আসবে। শিল্পদফতরের দায়িত্ব পেয়েই শিল্পতালুক পরিদর্শন করেছেন শশী পাঁজা। পতিত জমির যথাযথ ব্যবহারের বিষয়ে উদ্যোগী মন্ত্রী। ১৮টি নতুন শিল্প ইউনিটের মধ্যে খড়গপুরের বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকে সিজি ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড একটি ইউনিট গড়বে। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় শিল্পতালুকে বার্জার পেইন্টস এবং এসএস গ্লোবাসের ইউনিট গড়ে উঠবে। নৈহাটি শিল্পতালুকে ইউনিট তৈরি করতে চলেছে জুবিলিয়ান্ট ফুডওয়ার্কস। স্বাভাবিকভাবেই যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।