এবার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর চিতাভস্ম দেশে ফিরিয়ে আনার বিশেষ আবেদন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। এর আগেও এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। বিদেশ মন্ত্রকের কাছেও নেতাজীর অস্থিভস্ম দেশে ফেরানোর অনুরোধ করেছেন। শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লিখেছেন, “যেহেতু আমরা ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপন করছি এবং পঞ্চপ্রাণের অংশ হিসাবে আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করার অঙ্গীকার করি, আমি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কন্যা মিসেস অনিতা বোস পাফের অনুরোধের সমর্থনে আপনাকে এই চিঠিটি লিখছি তার শেষ দেহাবশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য।”
পাশাপাশি চিঠিতে প্রিয়াঙ্কা আরও লিখেছেন, “আমি আপনাকে মিসেস অনিতা বোস ফাফের অনুরোধের বিষয়ে একটি নোট নেওয়ার আবেদন করছি এবং নেতাজির অস্থিভস্ম দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অদম্য অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকার করার জন্য এই জাতীয় সমস্ত কূটনৈতিক এবং অন্যান্য ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করুন। এটি প্রকৃতপক্ষে আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা হবে যারা ভারতের স্বাধীনতার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্টের দিনেই সুভাষ-তনয়া অনিতা বলেছিলেন সময় এসেছে তাঁর বাবার চিতাভস্ম ভারতে ফিরিয়ে আনার। “যদিও তিনি (নেতাজী) স্বাধীনতার অভিজ্ঞতা লাভের জন্য বেঁচে ছিলেন না, তবে তাঁর দেহাবশেষ ভারতে ফিরিয়ে দেওয়া তাঁর জন্য একটি তৃপ্তির বিষয় হবে। বর্তমান প্রযুক্তি নানান ধরনের উন্নতমানের ডিএনএ টেস্ট করতে সমর্থ। ডিএনএ অংশ চিতাভষ্মের থেকে বিশেষ ভাবে নেওয়া যায়। যাঁরা এখনও সন্দেহ করছেন যে নেতাজীর মৃত্যু ১৮ই আগস্ট, ১৯৪৫ সালে হয়েছে কি না, তাঁদের কাছে প্রমাণ তুলে ধরার এটা একটা সুযোগ, যে জাপানের রেনকোজি মন্দিরে তাঁর চিতাভস্ম রয়েছে”, জানিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেও এই একই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন নেতাজী-কন্যা।