গত বছরের অগস্টে কাবুল দখল করে তালিবান। তবে মার্কিন সেনাবাহিনী বিদায় নিলেও আখুন্দজাদার সংগঠনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে আইএস। কাবুল বিমানবন্দর-সহ একাধিক তালিবান নেতার ওপর হামলা চালায় ইসলামিক স্টেট খোরাসানের জঙ্গিরা। গত মে মাসেই পরপর তিনটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফ। তিনটি বাসেও বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এবার ফের বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। বুধবার সেখানের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জেহাদিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের। আহত অন্তত ৪০। এই হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেটের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যাবেলা প্রার্থনা চলাকালীন খইর খানা এলাকার একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। সূত্রের খবর, হামলায় সিদ্দিকি মসজিদের ইমাম আমির মহম্মদ কাবুলিরও মৃত্যু হয়েছে। রয়টার্সকে তালিবানের এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছে, সিদ্দিকি মসজিদে হওয়া হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন হতাহত হয়েছে। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে তালিবান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত সপ্তাহে কাবুলে ইসলামিক স্টেটের হামলায় মৃত্যু হয় তালিবানপন্থী মুসলিম ধর্মগুরু শেখ রহিমুল্লা হাক্কানির। ফলে আফগানিস্তান দখল করলেও দেশে শান্তি ফেরাতে তালিবান যে অক্ষম তা স্পষ্ট।