২০২০ সালে নিজের সেরাটা দিয়ে লড়াই করেছিলেন। প্রচারে ঝড় তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন রাজ্য রজনীতিতে। কিন্তু জোটসঙ্গী কংগ্রেস সেভাবে ফাইট দিতে না পারায় অল্পের জন্য কার্যসিদ্ধি হয়নি সেবার। তবে ২০২২ সালে এসে ফের বিহারের ক্ষমতার অলিন্দে চলে এলেন লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব। কুড়ির নির্বাচনে হারলেও তেজস্বীর লড়াকু মনোভাব প্রশংসিত হয়েছিল বিরোধী শিবিরে। ভোটে হারের পরও কিন্তু চেষ্টা ছাড়েননি তিনি। শেষমেশ তাঁর চেষ্টা সফল হল। বিহারের ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা গেল বিজেপিকে। যে নীতিশ কুমার ২০১৭ সালে বিরোধীদের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন, তাঁকেই ফিরতে হল বিরোধী জোটে। হ্যাঁ, তেজস্বী হয়তো মুখ্যমন্ত্রী হলেন না। কিন্তু পাটলিপুত্রে রাজনীতিতে যা গুঞ্জন তাতে সরকারের চাবিকাঠি থাকছে তাঁর হাতেই।
সূত্রের খবর, বিহারে নীতিশের নয়া মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। যা জানা যাচ্ছে তাতে জেডিইউয়ের থেকে অনেক বেশি মন্ত্রিত্ব থাকছে তেজস্বী যাদবের আরজেডির কাছেই। এমনকী গুরুত্বপূর্ণ দফতরের বেশিরভাগটাই যাচ্ছে লালুর দলের কাছে। আর এর নেপথ্যে আছেন তেজস্বী যাদবই। সূত্রের খবর, বিহারে সরকার গঠনের প্রাথমিক যে ফর্মুলা ঠিক করা হয়েছে, তাতে আরজেডির খাতায় যাবে ১৬টি দফতর। জেডিইউয়ের খাতায় যাবে ১১-১৩টি দফতর। কংগ্রেস পাবে মাত্র ৪টি দফতর। একটি দফতর যাবে হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার (হাম) হাতে। বামেরা যেহেতু সরাসরি মন্ত্রিসভায় অংশ নিচ্ছে না, তাই তাদের কোনও মন্ত্রক দেওয়া হচ্ছে না। শুধু মন্ত্রিত্ব বেশি পাওয়াই নয়, বিহার বিধানসভার স্পিকারের পদও যাচ্ছে আরজেডির হাতেই। তাছাড়া তেজস্বী নিজে তো উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেনই।