শারীরিক অসুস্থতার কারণে সিবিআই নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও গতকাল, বুধবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর আজই তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল সিবিআই। কিন্তু অনুব্রত গ্রেফতার নাকি আটক, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত রয়েছে।
এদিন সকালেই বোলপুরের নীচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই গোয়েন্দারা। ১০-১২টি গাড়ির কনভয় নিয়ে পৌঁছন সিবিআই অফিসাররা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। শুধু মেইন গেট নয়, দুদিক দিয়ে বাড়িতে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেই দরজায় তালা লাগিয়ে দেন সিবিআই অফিসাররা। এরপর বেশ কিছুক্ষণ অনুব্রতর বাড়িতে ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। অবশেষে তাঁকে গাড়িতে তোলা হয়। যদিও অনুব্রতর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা জানান, ‘গ্রেফতার করলে তো আইনজীবী হিসেবে আমাদের তা জানানোর কথা। কিন্তু এখনও তা জানানো হয়নি। তাই গ্রেফতার বলতে পারছি না। আটক করা হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, এত দিন ১৬০ সিআরপিসি-তে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল অনুব্রতকে। আজ ৪১এ তে নোটিশ দিয়ে অনুব্রতকে অভিযুক্ত হিসেবে নোটিশ দিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, অ্যারেস্ট মেমো-তে সই করতে রাজি হননি অনুব্রত। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আসানসোলে। এখনও সরকারি ভাবে গ্রেফতারের কথা সিবিআই-এর তরফে ঘোষণা করা না হলেও অনুব্রতকে যে আর ছেড়ে দেওয়া হবে না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে অনুব্রতকে গ্রেফতারির ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা বলে সূত্রের খবর।