দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির বোঝাতে চেয়েছিল তারা দেশের তফশিলি উপজাতি বা আদিবাসীদের গুরুত্ব দেন। তাঁদের উন্নয়নের জন্য সদাজাগ্রত। কিন্তু বাস্তবে মোদী সরকার যে দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়ন নিয়ে খুব একটা সজাগ নয় সেটা বেআব্রু হয়ে গেল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক প্রশ্নের সূত্রে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন জাতীয় উপজাতি কমিশনের শূন্যপদ ক’টি? সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই বেরিয়ে এল সাংঘাতিক তথ্য। কেননা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন জাতীয় তফশিলি উপজাতি কমিশনে ১২৪টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৭৫টি পদই ফাঁকা পড়ে রয়েছে।
লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে দেশের নানা প্রান্তের সাংসদরা কেন্দ্র সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন। সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেন সংশ্লীষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রশ্ন তুলেছিলেন তার উত্তর দেন কেন্দ্রীয় উপজাতি মন্ত্রী বীশ্বেশ্বর টুডু। অভিষেকের প্রশ্ন ছিল, জাতীয় উপজাতি কমিশনের শূন্যপদ ক’টি? কেন সেই শূন্যপদ পূরণ হচ্ছে না এবং তা কতদিনে পূরণ হবে? ২০১৮ সাল থেকে উপজাতি কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করতে বিলম্ব নিয়েও প্রশ্ন রেখেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় উপজাতি মন্ত্রী বীশ্বেশ্বর টুডু জানান, জাতীয় তফশিলি উপজাতি কমিশনে অনুমোদিত পদ ১২৪টি। তারমধ্যে ৭৫টি পদই ফাঁকা পড়ে রয়েছে। মাত্র ৪৯ জন কর্মী নিয়ে চলছে কমিশনের কাজকর্ম।