রাজ্যে সরকারি কাজে ঠিকাদারি নিয়ে দুর্নীতি বন্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এখন থেকে পঞ্চায়েত বা পুরসভা এক লক্ষ টাকা মূল্যের কোনও কাজ করতে চাইলেও বাধ্যতামূলকভাবে ই-টেন্ডারিং করতে হবে। শুধু কাগজে বিজ্ঞাপন দিলে হবে না, রাজ্য সরকারের নিজস্ব টেন্ডার পোর্টালে ই-টেন্ডার ডাকতে হবে। টেন্ডারের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য রাজ্যের অর্থ দফতরের এই নয়া নিয়ম বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামাঞ্চলে ঠিকাদারি নিয়ে রাজ্যের শাসক দল একটা স্বচ্ছভাবমূর্তি সামনে আনতে চাইছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই রাজ্যের অর্থ দফতরের ই টেন্ডার প্রক্রিয়া বিভিন্ন জায়গায় স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার এই নয়া সিদ্ধান্ত নবান্নের বলেই আধিকারিকদের ব্যাখ্যা।
গত বুধবার অর্থ দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি দফতর ছাড়াও স্বশাসিত সংস্থা, আন্ডারটেকিং, বিভিন্ন দফতরের অধীনে থাকা বিধিবদ্ধ সংস্থা,উন্নয়ন পর্ষদগুলিকে এই নীতি বাধত্যামূলকভাবে মেনে চলতে হবে। আইনি গেঁড়োয় আটকা পড়ার ভয় একাধিক দপ্তর বিভিন্ন কাজ তাদের অধীনে থাকা বিধিবদ্ধ সংস্থা বা ডেভালপমেন্ট অথরিটিকে হাতিয়ার করে। যাতে ইচ্ছেমতো টেন্ডার করে পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ করা যায়। এভাবে সরকারি অর্থ অপচয়ের নজিরও রয়েছে। আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার এবার অপচয় নিয়ন্ত্রণে ই-টেন্ডারিংয়ের নামে কাজের পদ্ধতি বদল করল। যাতে ছোট কাজেও পদ্ধতি মেনে ঠিকাদার নিয়োগ হয়।