বিজেপিকে একহাত নিয়ে নিজের দলের কর্মীদের তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলংয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন বুধবার একদিনের সফরে মেঘালয়ে আসেন তিনি অভিষেক। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে অনেকদিন ধরেই সংগঠন জোরালো করার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করেছে। এখন মেঘালয় বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী বছর মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেবে তৃণমূল। তার আগে এই রাজ্যে নিজেদের মাটি শক্ত করাই মূল লক্ষ্য তাদের। এদিন অভিষেক বলেন, “সবাইকে ধন্যবাদ এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার জন্য। এখনও ভোটের ছয় মাস বাকি আছে। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলবে। ২০১৮ সালে মানুষের ভোটে যারা ক্ষমতায় এল তারা কাজ করছে না। এই সরকার বিজেপির হাতের পুতুল হয়ে আছে।”
এদিন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “এখানে এক মুখ্যমন্ত্রী আছেন, যিনি এই রাজ্যে বন্যা দুর্গতদের পাশে না থেকে দিল্লিতে ডিনার পার্টিতে যোগ দেন। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করছি, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন?” পাশাপাশি অভিষেক দৃঢ় উক্তি, “মেঘালয় দিল্লী বা গুজরাতের সামনে মাথা নীচু করবে না। উত্তর পূর্ব ভারত ভগবানের, শান্তির, সম্প্রীতির। বিজেপির একাধিক বড় বড় নেতা এসেছিল বাংলায়। আমরা তাঁদের জায়গা কোথায় দেখিয়ে দিয়েছি।” এদিন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনের পাশাপাশি তৃণমূলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, রাজ্যের সব জায়গায় সব বাড়িতে যাবে তাঁরা। মিসড কল দিতে আহ্বান করেন ৯৬৮৭৭৯৬৮৭৭ নম্বরে। জানান, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবেন। ২০২৪-এ গণতান্ত্রিক সূর্য পূর্ব দিক থেকেই উঠবে, এমনই বলেন তিনি। এদিন কংগ্রেস, বিজেপিকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ। “এটা একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস বিজেপিকে, বিজেপি কংগ্রেসকে সমর্থন করে। আমি মুকুল সাংমাকে ধন্যবাদ দেব যে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে বেছে নিয়েছেন। আমার অনুরোধ, বিজেপিকে ওদের পথ দেখিয়ে দিন। সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে সেই পূর্ব দিক থেকেই।” জানান অভিষেক।