মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পগুলিতেই আস্থা কোভিডে ভুক্তভোগীদের। এবার এমনটাই জানা গেল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সংস্থার রিপোর্ট থেকে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মতে, কোভিড-কালে যাঁদের জীবন ও জীবিকা সব থেকে বেশি দুর্ভোগের শিকার তাঁরা হলেন প্রথম সারির ভুক্তভোগী। যে প্রচণ্ড দুর্দশার মুখে এই সমস্ত মানুষকে পড়তে হয়েছে, তাতে করোনা হয়ে উঠেছে আর্থ-সামাজিক অতিমারিও। এই পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে কোভিড ও তা যুঝতে সরকারি নীতির বিষয়ে প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্টে। আজ, বৃহস্পতিবার ট্রাস্টের সভাপতি অমর্ত্যের উপস্থিতিতে যা প্রকাশ হওয়ার কথা।
‘স্টেয়িং অ্যালাইভ’ শীর্ষক রিপোর্টে উঠে এসেছে, এ দেশে অতিমারির প্রথম ঢেউ (২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বর) চলাকালীন এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাক্কালে (২০২১-এর গোড়ায়) বাংলায় নানা ভাবে ভুক্তভোগী দু’হাজার পরিবারের কথা। তবে প্রতীচী রিপোর্টের অন্যতম সমীক্ষক সাবির আহমেদ বলেন, ‘বিপদে সরকারি প্রকল্পে ভরসার কথাই মানুষ বলেছেন। সরকারি স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গণবণ্টন ব্যবস্থা বা কর্মসংস্থান সুরক্ষা নীতিতে জনতার আস্থার ছবিই উঠে এসেছে।’
তাদের সমীক্ষা সমৃদ্ধ রিপোর্টে রয়েছে আশাকর্মী এবং সহযোগী স্বাস্থ্য-সেবিকাদের (এএনএম) ‘বীরগাথা’ও। ‘সামান্য স্বেচ্ছাসেবী’ বলে ধরা হলেও, পাকা স্বাস্থ্যকর্তাদের মতো করেই তাঁরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট নিভৃতবাস কেন্দ্র চালিয়েছিলেন। এই স্বাস্থ্যকর্মীদের লকডাউনে ‘ছুটি’ ছিল না। তাঁরা কখনও ঝুঁকি নিয়ে কোভিড সংক্রমণ জরিপ করেছেন, কখনও বাড়ি-বাড়ি ঘুরে কোমর্বিডিটি (আনুষঙ্গিক রোগ) চিহ্নিত করেছেন। আবার লকডাউন মিটলে, টিকার লক্ষ্যপূরণে সচেষ্ট হয়েছেন।