এখনও অব্যাহত মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক চাপানউতোর। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলতে কার্যত ভারত ভ্রমণ করে ফেলছেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা। বুধবার বিকেলে শিন্ডে বাহিনীর চার্টার্ড বিমান নাকি ডামোলিম বিমানবন্দরের মাটি ছুঁতে চলেছে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় অনাস্থা ভোটের জন্য বিশেষ অধিবেশন। মনে করা হচ্ছে, গোয়া থেকেই সরাসরি মুম্বইয়ে পৌঁছবেন শিন্ডেরা। অন্য একটি সূত্রের দাবি, দুপুরে গুয়াহাটির হোটেলেই থাকবেন বিধায়করা। বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর গোয়া যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। এমনই জানাচ্ছে সূত্র। মহারাষ্ট্র থেকে প্রথমে গুজরাত, তার পর দেশের একেবারে পূর্ব সীমার অসম। শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা মহারাষ্ট্রের উদ্ধব সরকারের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে গুয়াহাটির বিলাসবহুল হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। দু’দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ই জুলাই পর্যন্ত গুয়াহাটির হোটেলের ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় আস্থাভোটের মুখোমুখি উদ্ধব সরকার। ফলে গুয়াহাটি থেকে ফিরে আসছেন তাঁরা। যদিও সরাসরি মহারাষ্ট্রে নয়। দলবেঁধে গোয়া যাচ্ছেন।
পাশাপাশি আবার অন্য একটি সূত্রের দাবি, বিকেল ৫টায় সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পরই গুয়াহাটির হোটেল ছাড়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শিন্ডে। তাই আপাতত তাঁরা গুয়াহাটির হোটেলেই থাকছেন। সূত্রের খবর, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ চার্টার্ড বিমান গোয়ায় নামবে। সমুদ্রতটের ধারে বিলাসবহুল হোটেল ‘তাজ রিসর্ট অ্যান্ড কনভেনশেন সেন্টার’-এ ৭১টি ঘর ভাড়া হয়ে গিয়েছে। খুব সম্ভবত সেই ঘরেই এসে উঠবে বিদ্রোহী শিন্ডে শিবির। গুয়াহাটির বিলাসবহুল হোটেলেও প্রস্তুতি চূড়ান্ত। হোটেলে এসে পৌঁছে গিয়েছে একাধিক বাস। মনে করা হচ্ছে, সেই বাসেই হোটেল থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দর রওনা দেবেন মহারাষ্ট্রের বিধায়করা। সমুদ্রতটের বিলাসবহুল হোটেলে রাত্রিবাসের পর বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বইয়ের উদ্দেশে উড়ে যাবে চার্টার্ড বিমান। তার সওয়ারি হবেন মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী বিধায়করা। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি কোনদিকে এগোয়, সেদিকেই তাকিয়ে তামাম রাজনৈতিক মহল।