পাট শিল্প নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ জারি রেখেছেন তিনি। সরাসরি কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলনে নামার বার্তাও দিয়েছেন। সরাসরি এ কথাও বলেছেন যে, বিজেপিতে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের অনেকেই কাজের নয়। এরই মধ্যে এবার কোনও রাখঢাক না রেখেই বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং জানিয়ে দিলেন, ১৫-১৬ দিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, তিনি বিজেপিতে থাকছেন কি না।
প্রসঙ্গত, প্রথমে স্থির ছিল বৈঠক হবে রাত ৯ টার সময়। কিন্তু তারপর সময় পিছিয়ে যায়। রাত প্রায় ১০ টা নাগাদ ৭/বি মতিলাল নেহরু মার্গে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার বাসভবনে বৈঠকে যান অর্জুন সিং। নাড্ডার বাসভবনের পিছনের দিকের গেট দিয়ে প্রবেশ করেন অর্জুন। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নাড্ডার সঙ্গে কথা হয় বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের। আর তারপির নাড্ডার বাসভবন থেকে বেরিয়ে কার্যত বোমা ফাটিয়ে দেন অর্জুন। বিজেপিতে তাঁর ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংসদ কোনও রাখঢাক না রেখেই সাফ জানিয়ে দেন, ১৫-১৬ দিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, তিনি বিজেপিতে থাকছেন কি না।
বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘এটি একটি বড় প্রশ্ন। আমি থাকব কি থাকব না, তার উত্তর আগামী ১৫-১৬ দিনের মধ্যে পেয়ে যাবেন।’ উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো ছড়ায় যে অর্জুন হয়ত তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। এরই মধ্যে সোমবার নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর আলোচনা ভাল হয়েছে বলেও নিজের অবস্থান নিয়ে যেভাবে ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ, তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। যদিও অর্জুন শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেবেন, তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছে সব পক্ষই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, জল মেপে পা ফেলতে চাইছেন অর্জুন।