২০২২ এর মার্চ মাস থেকেই ভারতের বক্স অফিসে কামাল করেছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। ছবি নিয়ে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। ১৯৯০-তে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে হিন্দু পণ্ডিতদের উৎখাত করার ঘটনাই পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রি তুলে ধরেছিলেন তাঁর ছবিতে। তবে কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে প্রভাব কাটেনি এখনও।
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ যে ধর্মীয় ভেদাভেদ করতে পারে সে দাবি তুলতে দেখা গিয়েছিল দেশের কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল, পরিচালক, অভিনেতাদের। যদিও একাংশের দাবি ছিল, দেশের ইতিহাস এতদিন পর সামনে এসেছে। এতদিন মানুষ জানত না কীভাবে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে সেই সময় হিন্দু পণ্ডিতদের।
আবারও কাশ্মীরি পণ্ডিতের হত্যা নিয়ে উত্তপ্ত দেশ তথা উপত্যকার রাজনীতি। কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরি পণ্ডিত তথা সরকারি চাকুরিজীবী রাহুল ভাটকে হত্যা করেছিল আততায়ীরা। এই কাশ্মীরি পণ্ডিতের হত্যা নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছিল।
এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন জম্ম-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস্ ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান মেহবুবা মুফতি। সোমবার মেহবুবা বলেন, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ ছবিটি নতুন করে উপত্যকায় হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং হিংসা ছড়িয়ে দিতে উস্কানি দিচ্ছে।
সোমবারই বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুখ আবদুল্লা। তাঁর দাবি এই ছবি গোটা দেশে ‘ঘৃণার পরিবেশ’ তৈরি করছে। এমনকী ছবিতে দেখান যাবতীয় ঘটনাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়েছেন ফারুখ। আবদুল্লা, মুফতি সহ পিপলস অ্যালায়েন্স অব গুপকর ডিক্লেয়ারেশনের নেতৃত্ব কাশ্মীরের লেফট্যান্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
সেখানে রাহুল ভাটের মৃত্যুর পর উপত্যকায় হওয়া যাবতীয় হিংসা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাহুলকে হত্যা করা হয়েছিল। রাহুলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উপত্যকার রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয়রা। পুলিশকে বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়েছিল। রাহুলের খুনের ঘটনায় জম্ম কাশ্মীর সরকার ইতিমধ্যেই সিট গঠন করেছে।
মেহবুবার দাবি, তিনি যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছিলেন তখন উপত্যকার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছিলাম। ২০১৬ সালে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেও কাশ্মীরে কোনও খুনের ঘটনা ঘটেনি। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ ছবি নতুন করে হিংসার পরিবেশ তৈরি করছে।”