প্রথম থেকেই ভিন্ন সুর গেয়ে ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যুর ঘটনাতেও সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যার শাস্তিস্বরূপ দলের জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বরুণ গান্ধীকে। এবার ফের দলকে বিড়ম্বনায় ফেললেন পিলভিটের বিজেপি সাংসদ। কোনও রাখঢাক না রেখেই সরাসরি দলের ভোট কৌশলের সমালোচনায় সরব হলেন মানেকা-পুত্র। তাঁর বক্তব্য, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করে ভোটে জেতা যাবে না। মানুষ কাজ চায়। মানুষ জানতে চায় কবে কমবে জিনিসপত্রের দাম।
একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বরুণ। তাঁর বক্তব্য, পাঁচ বছর আগে উত্তরপ্রদেশের মানুষ বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে বিজেপিকে ভোটে জয়যুক্ত করেছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বেকারত্ব। রেলে ৩৫ হাজার পদের জন্য দেড় কোটি বেকার আবেদন করছে। জিনিসপত্রে ঊর্ধ্বমুখী দামে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ভোটের দিন ঘোষণার আগে মুখ্যমন্ত্রী যোগী মন্তব্য করেন, এবার বিধানসভা ভোট হবে ৮০ শতাংশের সঙ্গে ২০ শতাংশের লড়াই। মাস কয়েক আগে তিনি এমনও মন্তব্য করেন যে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার আসার আগে নাকি আব্বাজান, আম্মাজান বলা লোকেরাই রেশনে ভালমন্দ পেত। নাম না করে যোগীর ওই সব বক্তব্যকে অনৈতিক বলে মন্তব্য করে বরুণ জানান, এবারের ভোট হবে ডাল রুটির প্রশ্নে। পাশাপাশি, রাজ্যের মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তাও দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।