মোহভঙ্গ হতেই নিজের ‘ভুল’ বুঝতে পেরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি করেছেন তিনি। পুরভোটে তাঁকে টিকিটও দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিধাননগর পুর নির্বাচনে সহজ জয় পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভরসার মান রাখলেন সব্যসাচী দত্ত। পুর নিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নজর ছিল প্রথম থেকেই, কারণ সব্যসাচীকে দল প্রার্থী করেছিল ওই আসন থেকেই। জয়ের বিষয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন সব্যসাচী। যা আশা করেছিলেন, হলও তাই। সহজ জয় পেলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিধাননগরে গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল। প্রায় প্রতিটি রাউন্ডেই বিপুল ভোটের লিড পাচ্ছিলেন সব্যসাচী, কৃষ্ণা, দেবরাজ চক্রবর্তীরা। প্রথমেই খবর আসে যে জিতেছেন তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী। ততক্ষণে পাঁচ রাউন্ডের গণনা শেষ হয়েছে সব্যসাচীর। বেলা সাড়ে নটা নাগাদ সব্যসাচী বুঝে গিয়েছিলেন, জয় এবার প্রায় নিশ্চিত। সেই সময়েই সস্ত্রীক বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁকে খোশমেজাজে বলতে শোনা যায়, জয় আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয়, মা মাটি মানুষের জয়। সেই সময় তাঁর প্রাক্তন দল বিজেপিকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্যত কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ওদের নিয়ে আর এই বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই না। এরপরেই স্ত্রীকে নিয়ে জয়ের শংসাপত্র নিতে বেরিয়ে যান তিনি। গণনা কেন্দ্রে পৌঁছতে পৌঁছতেই খবর এসে যায়, ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৪ হাজার ৬৪৪ ভোটে জয় পেয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এবার কালীঘাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন সব্যসাচী।