ভোটে জেতার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে সস্ত্রীক প্রণাম করে এলেন সব্যসাচী দত্ত। সেখান থেকে চেতলায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে। তার পর যান সব্যসাচী যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। অভিষেকের সঙ্গে সস্ত্রীক সব্যসাচীকে ভিক্টরি সাইন উঁচিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা যায়।
দলনেত্রী কী বললেন? জবাবে সব্যসাচী বলেন, ‘জয়ের পর দলনেত্রীর আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলাম। দিদি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছেন, আজ ভ্যালেন্টাইন’স ডে, ও তোমাকে কী দিয়েছে? স্ত্রী জবাবে জানিয়েছেন, কিছুই না। তখন লতাদি’কে বলে একটি শাড়ি আনিয়ে স্ত্রীকে দিয়েছেন। আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’ দলনেত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সব্যসাচীর গাড়ি যায় ফিরহাদের বাড়িতে। সেখান থেকে তিনি যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
সোমবার বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ সস্ত্রীক কালীঘাটে পৌঁছন সব্যসাচী দত্ত। তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বাইরে বেরিয়ে সব্যসাচী বলেন, ‘সবটাই দলনেত্রীর কৃতিত্ব’। ফিরহাদ হাকিমও বলেন, ‘দিদি বলছেন, এটা মানুষের জয়। কিন্তু আমরা বলব, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। কারণ মানুষ দিদিকে দেখেই মানুষ আমাদের প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন। ৩০, বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি) আমাদের মন্দির। সেখানে আমরা প্রণাম করতে যাই। আমিও গিয়েছিলাম, সব্যসাচীও গিয়েছে। আমার বাড়িটা যেহেতু কাছে তাই দেখা করে গেল’।