কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্যে দেখা গিয়েছে, বেকারত্বের যন্ত্রণায় দেশে আত্মহত্যার পরিমাণ বেড়ে অনেকটা। ২০১২ সালের থেকে ২০২২ সালে সেই সংখ্যাটি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যানে পৌঁছেছে নিউজ১৮। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় বলেছেন, ২০২০ সালে বেকারত্বের যন্ত্রণায় আত্মহত্যা করেছেন মোট ৩ হাজার ৫৪৮ জন। আবার কেন্দ্রীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যে দেখা যাচ্ছে ২০১২ সালে এই আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১৭৩১, যে সংখ্যাটা হঠাৎই বেড়ে গিয়েছে অনেক।
রাজ্যসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে নিত্যানন্দ রাই আরও জানিয়েছেন, আত্মহত্যার আরও কয়েকটি কারণ প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৮ সালে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বা ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে যাওয়ার ফলে আত্মহত্যা করেছিলেন মোট ৪ হাজার ৯৭০ জন, ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ৫ হাজার ২১৩ জন। ২০১২ সালে এই সংখ্যাটি ছিল মাত্র ২ হাজার ৩৫৭।
দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যার পরিমাণ গড়ে প্রতিবছরই বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটি প্রথম ৩ হাজার পেরিয়ে যায়। ২০১৬ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ২২৯৮, তার পরের বছরগুলিতে ছিল যথাক্রমে ২৪০৪, ২৭৪১, ২৮৫১। ২০২০ সালের হিসাব অনুসারে দেশে বেকারত্ব ও দেউলিয়া হওয়ার কারণে মোট আত্মহত্যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৬১। রাজ্যসভায় পাওয়া জবাবে এই কথা জানানো হয়েছে।
রাজ্যসভায় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতে বেকারত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের আরও কর্মদিব সৃষ্টির তাগিদে চালু করা হয়েছে আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা। এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সংস্থা, যাঁরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন, তাঁদের নানারকম সুবিধা দেওযার কথা বলেন কেন্দ্রীয় সরকার, পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়।