দলীয় মুখপত্রে রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল কংগ্রেস বার্তা দিয়েছে, ‘আপনি কে?’। দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় সম্পাদকীয় প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। সেখানেই এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
জাগো বাংলায় লেখা হয়েছে, ‘স্বাধীনতার পর বাংলায় অনেক রাজ্যপাল এসেছেন, বিতর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু তারা কখনওই সাংবিধানিক গন্ডি লঙ্ঘন করেননি। ভুলেও যাননি তাঁদের পদটা আসলে আলঙ্কারিক। তাঁরা সাংবিধানিকভাবে শীর্ষে থাকলেও আসলে ক্ষমতা কিন্তু রয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতেই ৷ তাঁদের সিদ্ধান্তকে তিনি সাংবিধানিক রূপ দেন। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল মনে করেন, তিনিই বোধহয় রাজ্যের শেষ কথা। আইনজীবী বলে কথায় কথায় সংবিধানের ধারা উল্লেখ করেন। কিন্তু কখনওই বলেন না ১৯৪৯ সালে লেখা সংবিধানের ১৬৩ ধারায় ঠিক কী বলা রয়েছে। আসলে এই রাজ্যপাল পদটি অটুট রাখা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এই পদটি রাজনীতিবিদদের রিটায়ারমেন্টে বেনিফিট।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা প্রত্যাঘাতের পথে তৃণমূল৷ সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বাজেট অধিবেশনেই সংসদের রাজ্যপালকে অপসারণের দাবিতে প্রস্তাব আনতে পারেন তৃণমূল সাংসদরা ৷ তার জন্য সংসদের তৃণমূলের তরফে স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনা হতে পারে৷ গতকাল, বৃহস্পতিবারই কালীঘাটে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগামী বাজেট অধিবেশনে দলীয় সাংসদদের ভূমিকা কী হবে, তা ঠিক করে দেওয়া ৷ সেই বৈঠকেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয় ৷ সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার রাজ্যপালকে অপসারণের দাবিতে সংসদে সক্রিয় হবেন দলের সাংসদরা৷
সংসদের কার্যবিধি অনুযায়ী, রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে থাকা কারও ত্রুটি বা গাফিলতির বিরুদ্ধে এই স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনা যায়৷ জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে এবার সম্ভবত সেই পথই নেওয়া হবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে৷