জেলা কমিটি ঘোষণা হতেই ফের সুর চড়ছে বিজেপির অন্দরে। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার কমিটি ঘোষণা হতেই ক্ষোভের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। এর আগে রাজ্য কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর জেলার বিধায়কদের মধ্যে অসন্তোষের অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি বিজেপির তরফে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলার জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে বাদ পড়েছেন বেশ কয়েকজন সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী। বাদ পড়া সদস্য ও পদাধিকারীদের অধিকাংশের দাবি, এই কমিটি তৈরি হয়েছে লবি মেনে। সে কারণেই পছন্দের লোকজন ছাড়া বাকিদের ছেঁটে ফেলা হয়েছে।
বিজেপির বাঁকুড়ার সাংগঠনিক জেলা কমিটি থেকে এবার বাদ দিয়েছে এত দিনের জেলা সহ সভাপতি রূপা চক্রবর্তীর নাম। এ নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন তিনি। গলা বুজে আসে তাঁর। রূপা চক্রবর্তীর কথায়, ‘২০১৫ সাল থেকে দলের হয়ে কাজ করছি। যতটা সামর্থ্য তার থেকেও বেশি দেওয়ার চেষ্টা করেছি দলকে। অথচ জেলা কমিটির প্রথম তালিকা বের হল, সেখানে আমার নামটা কোথাও খুঁজে পেলাম না। তালিকাটা দেখে মনেই হল, আমি কোথাও অযোগ্য। তাই জেলা আমাকে সেই জায়গা দিল না। আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি। আমি স্বজনপোষণ নিয়ে কিছু বলব না। এটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবে। কিন্তু আমি আমার ক্ষেত্রে মনে করছি আমিই কাজ করতে পারিনি। তবে এটাও ঠিক আমি কিন্তু আমাকে কোনও জায়গায় অযোগ্য বলে মনে করি না। যখন যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে পালন করেছি। এটা হল কী করে জানি না। আমি যে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব সে অবস্থাও আমার নেই’।
অন্যদিকে ওন্দায় বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার অনুগামী হিসাবে পরিচিত হওয়ায় নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার একাধিক জেলা কমিটি সদস্য। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন প্রদীপকুমার চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে প্রতিবাদে সরব হন তিনি। তাঁর অভিযোগ, নতুন যে কমিটি তাতে স্বজনপোষণ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের যে নতুন জেলা কমিটির সভাপতি হয়েছেন তাঁকে কিছুতেই মানছি না। উনি আমাদের পুরনো সক্রিয় কর্মীদের সরিয়ে নিজের মতো করে কমিটি তৈরি করেছেন। যাঁকে আমরা কোনওদিন দেখিইনি তাঁদের কমিটিতে রেখেছেন। আমরা বিধায়ক অমর শাখার লোক বলে বাদ দিয়ে দিলেন’।