ক্রমশই দেশজুড়ে ভয় ধরাচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন। মাথাচাড়া দিচ্ছে সংক্রমণ। বাংলাতেও একটু একটু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর তাই সংক্রমণে রাশ টানতে নতুন বছরের প্রথম দিন ভক্তদের জন্য কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, গতবারের মতো এবারও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তশূন্যভাবেই পালিত হবে কল্পতরু উৎসব। বছরের প্রথম দিন মানেই চতুর্দিকে উৎসবের মেজাজ। সেদিন আবার কল্পতরু উৎসবও। তাই বছরটা অনেক ভক্তই শুরু করতে চান মন্দিরে পুজো দিয়ে। কিন্তু বছর শেষে এক ধাক্কায় করোনার দাপট অনেকখানি বেড়ে যাওয়ায় সতর্ক হচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষগুলি। কালীঘাট মন্দিরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, আলিপুর আদালতের নির্দেশ মেনে ভক্তদের জন্য ১লা জানুয়ারি মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র পুরোহিত, সেবাইতরা প্রবেশ করতে পারবেন। তবে নিত্যপুজো ও ভোগ আগের মতোই বহাল থাকবে।
প্রসঙ্গত, বেলুড় মঠের তরফে আগেই সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ভিড় এড়াতে ১-৪ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে মঠ। ৫ই জানুয়ারি থেকে ফের নিয়ম মেনে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে। মহামারী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। একই সিদ্ধান্তের পথে হাঁটে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরও। ভক্তশূন্য ভাবেই কল্পতরু উৎসব পালিত হবে। এদিকে, বছরের শেষ দিন ব্যাপক ভিড় বীরভূমের অন্যতম সতীপীঠ তারাপীঠ এবং কংকালীতলা মন্দিরে। এদিন সকাল থেকেই দুই মন্দিরে কয়েক হাজার ভক্ত ভিড় করেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে। ভক্তরা যাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন এবং দূরত্ববিধি মেনে চলেন, তা দেখতে স্বেছাসেবকও নিয়োগ করা হয়েছে। পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। তবে আজ ও আগামীকাল তারাপীঠের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে অঞ্জলি দিতে পারবেন না ভক্তরা।