একুশের দিনলিপিতে তৃণমূলের সাফল্যের তালিকা বেশ দীর্ঘ। বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় ফেরা থেকে একাধিক রাজ্যে সংগঠন বিস্তার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দল বিভিন্ন স্তরে সফল। এবার তাঁর নজর জাতীয় স্তরে। তাই এবার বাংলার বাইরেও একাধিক রাজ্যে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে চলেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে পালিত হবে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। তবে করোনার কারণে সর্বত্র ভারচুয়ালিই উদযাপন করা হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজনৈতিক স্তরে বিরোধী দল হিসেবে শক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট করতে নানা রাজ্যে একাধিক জনসভা করছেন দলের শীর্ষ নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা একাধিকবার নানা রাজ্যে সফর করেছেন। তৃণমূল নেত্রী গোয়া, মুম্বই, দিল্লিতে গিয়ে রাজনৈতিক প্রচারে অংশ নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ছুটে গিয়েছেন ত্রিপুরায়। তাঁদের উপস্থিতি ছাড়াও মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে তৃণমূল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১২ জন কংগ্রেস সাংসদ ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ায় এই সাফল্য এসেছে তৃণমূলের। হরিয়ানায় প্রাক্তন সাংসদ অশোক তনওয়ারকে দায়িত্ব দিয়ে সংগঠনের ভিত তৈরি করেছেন মমতা। এভাবেই নানা রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির।
তবে এইপ্রথম নয়। এবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেত্রীর ২১শে জুলাইয়ের ভাষণ পৌঁছে দিতে জোরকদমে নেমেছিল ঘাসফুল শিবির। দিল্লীতে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ সম্প্রচারের আয়োজন হয়। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ, বিপ্লব দেবের ত্রিপুরা, হিমন্ত বিশ্বশর্মার অসম-সহ ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবেও তাঁর ভাষণ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে তৃণমূল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবছরই বাইরের রাজ্যে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের প্রচারের তালিকায় জুড়েছিল গুজরাটের নাম। এবার তারই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে পয়লা জানুয়ারি, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের দলীয় কার্যালয়গুলিতে ভারচুয়াল অনুষ্ঠান হবে বলে খবর। এছাড়া এদিন রাজ্যে ‘ছাত্র দিবস’ পালনের ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বাংলা ছাড়াও ৬টি রাজ্যে সেসবই শোনা যাবে জানুয়ারির পয়লা তারিখে।