প্রস্তাবিত ডেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় ঘোষণা করেছিলেন, যেসকল বাসিন্দারা এই প্রকল্পের জন্য জমি দিতে ইচ্ছুক তাঁদের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। সেই চাকরি দেওয়ার জন্য আবেদন পত্র প্রদান এবং জমা নেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
চাকরির আবেদনপত্র বিতরণ এবং জমা দেওয়ার জন্য আব্দারপুর গেস্ট হাউসে একটি অফিস তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই এই আবেদন পত্র বিলি করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকেই এই অফিসে ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকার বহু মানুষকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে লক্ষ্য করা যায়।
তাঁরা জানান, এই কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য সদিচ্ছাই নিজেদের জমি দিচ্ছেন এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে চাকরির জন্য আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে এসেছেন। খুব শীঘ্রই সেই আবেদন পত্র পূরণ করে পুনরায় তা প্রশাসনকে জমা দেবেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের এমন সদর্থক পদক্ষেপে কার্যত পাচামি প্রকল্পে আশার আলো দেখছে জেলা প্রশাসন।
বীরভূম জেলার শাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, চাকরির এই ফর্ম বিলির পর থেকেই অনেকে জমি দিতে এগিয়ে এসেছেন। পাচামি এলাকার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষ ফর্ম সংগ্রহ করেছেন। দ্রুত এই ফর্ম বিলির কাজও সম্পন্ন হবে বলেই আশা করছেন জেলাশাসক।
শুধুই চাকরি নয়, পাচামি এলাকায় যে আদিবাসীরা জমি দান করবেন তাঁদের জমির বদলে যথাযোগ্য অন্য আরেকটি জমি দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে সে কথা আগেই ঘোষণা করেছিল সরকার। আদিবাসীদের নতুন ফ্ল্যাটবাড়ি নয়, বদলে গ্রামীণ পরিবেশেই পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এমনটাই ঘোষিত হয়েছিল প্রশাসনের তরফে।
জেলাশাসক বিধান রায়ের কথায়, ‘আদিবাসীদের সর্বাধিক সংশয় ছিল তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হলে তাঁরা কোথায় যাবেন। এছাড়া তাঁদের সংস্কৃতি নষ্ট হতে পারে। সেইসব কথা চিন্তা করেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আদিবাসীদের কোনও নতুন ফ্ল্যাটবাড়ি নয়, বদলে মহম্মদবাজার ব্লকেই গ্রামীণ পরিবেশেই আদিবাসীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’।