রাজ্যে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনগুলিতে কারা হতে চলেছেন তৃণমূলের প্রার্থী? ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তিনদিনের গঙ্গাসাগর সফরে গিয়েছেন। সেখান থেকে ফিরেই প্রার্থীতালিকা ঠিক করতে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন তিনি। বিধাননগর পুরসভার মোট একচল্লিশটি ওয়ার্ড। রাজারহাট-নিউটাউনকেও এখন বিধাননগরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ২২শে জানুয়ারি বিধাননগর-সহ চার পুরসভায় ভোট রয়েছে। বিধাননগর ছাড়াও ভোট রয়েছে চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে। সবক’টি পুরসভার জন্যই প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করতে হবে তৃণমূলকে। আলাদা আলাদা করে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেই নামের তালিকা ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগর থেকে ফিরেই বিধাননগর নিয়ে আলোচনায় বসবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রার্থীতালিকা এক রকম ঠিক করাই আছে। শুধু তার আগে সেই সমস্ত নাম নেত্রী নিজে একবার খতিয়ে দেখতে চাইছেন। আলোচনা করে নিতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। বৃহস্পতিবারের আলোচনায় থাকবেন বিধাননগরের বিধায়ক এবং রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। থাকবেন বিধাননগরের বিদায়ী ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। আলোচনায় থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এ ছাড়াও তৃণমূলের অন্য নেতারাও থাকবেন। বিধাননগরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কারা হবেন, তা ঠিক করার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে নিতে চাইছেন। একইসঙ্গে চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি নিয়েও আলাচনা চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট জেলার নেতৃত্বের মতামত নিতে চাইছেন। বিধাননগরের সঙ্গে শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দননগরের ভোটও ২২শে জানুয়ারি।