স্বঘোষিত ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মহাত্মা গান্ধীকে অপমান তথা অবমাননার। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ‘ধর্ম সংসদ’-এ গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশংসা করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো অবধি ধাওয়া করে ওই ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করল ছত্তিশগড় পুলিশ। এদিকে কালীচরণের গ্রেফারিতে না-খুশ মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের অভিযোগ, আন্তঃরাজ্য প্রোটোকল ভেঙে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ধর্মগুরুকে।
রবিবার অভিযুক্ত ধর্মগুরুর গান্ধীজিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে ধর্ম সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মহান্ত রামসুন্দর দাস অনুষ্ঠান ছেড়েও চলে যান। পরদিন কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ভঙ্গের অভিযোগে মামলাও হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রায়পুরের প্রাক্তন মেয়র প্রমোদ দুবে। স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ এনেছিলেন ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস নেতা মোহন মারকামও। শেষ পর্যন্ত ছত্তিশগড় পুলিশ গ্রেপ্তার করল অভিযুক্তকে।
ছত্তিশগড় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খাজুরাহ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের একটি ভাড়াবাড়িতে ছিলেন কালীচরণ মহারাজ। সেখানেই গভীর রাতে অভিযান চালায় ছত্তিশগড় পুলিশ। অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সন্ধ্যায় তাঁকে রায়পুরে আনা হবে।
রায়পুরের পুলিশ আধিকারিক প্রশান্ত আগরওয়াল জানিয়েছেন, ফোন ট্র্যাক করে ধাওয়া করা হয়েছিল কালীচরণ ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের। সম্ভবত তা বুঝতে পেরেই ধর্মগুরু ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা ফোন সুইচঅফ করে রেখেছিলেন। তারপরেও ছত্তিশগড় পুলিশের ১০ জনের দলটি পাকড়াও করে ফেলে অভিযুক্তকে।