বিজেপিশাসিত কর্নাটকে অব্যাহত ধর্মীয় মেরুকরণ ও অশান্তির জের। এর আগে জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছিল চার্চের বিরুদ্ধে। এবার কর্ণাটকের কোলারে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পুড়িয়ে তাণ্ডব চালাল হিন্দুত্ববাদীরা। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, আগেই স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়েছিল, এলাকায় যেন ধর্মীয় বই বিলি না করা হয়। তারপরেও সেই কাজ হয়। এদিকে আজকের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনও গ্রেফতার হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্মীয় বই বিলি করা নিয়ে আমরা আগেই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে সতর্ক করেছিলাম, আলোচনা করে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে দুই শিবিরের মধ্যে সমঝোতাও হয়েছিল। তথাপি এই ঘটনা ঘটছে। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে ধর্মীয় বই বিলি করছিলেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কয়েক জন। তাঁদের পথ আটকায় হিন্দুত্ববাদীরা। বাদানুবাদের পর বই কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেয় তারা। ধর্মীয় বই পুড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকারও করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। এক হিন্দুত্ববাদীর সাফাই, “আমরা হিংসাত্মক কিছু করিনি। কিন্তু ওরা প্রতিবেশীদের ধর্মীয় বই বিলি করছিল, খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার চালাচ্ছিল, তাই আমরা এই কাজ করেছি।” উল্লেখ্য, ইউনাইটেড ক্রিশ্চান ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে কর্ণাটকে ৩২টি হামলা হয়েছে বিভিন্ন চার্চে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্য ছয়টি হামলা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমানি জানিয়েছেন, জোর করে ধর্মান্তকরণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে আলোচনা হবে। বোমানি আরও জানিয়েছেন, ধর্মান্তকরণের বিষয়টির এই বিল আনার উদ্দেশ্য। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বিভিন্ন শহরে জোর করে ধর্মান্তকরণের প্রতিবাদ মিছিল করেন সেদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুরা। সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদ শহরের প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ দেখান খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। ফোর্সড কনজারভেশন বিল প্রত্যাহার-সহ অন্যান্য ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।