ত্রিপুরায় আবার আক্রান্ত তৃণমূল। এবার সরাসরি আক্রমন তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের উপর। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর এবং ব্যাগ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
গতকাল থেকে ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে তৃণমূলের প্রচার কর্মসূচি। এই কর্মসূচি চলবে ৩১ অক্টবর অবধি। এই প্রচারেই ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের গাড়িতে। তৃণমূলের তরফে মূলত বলা হচ্ছে যে পুরভোটের প্রচারে ত্রিপুরার তিন দিকে তিনটি দল প্রচারে বেরিয়েছে। এর মধ্যে সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে পশ্চিম ত্রিপুরায় চলছে “ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল” প্রচার। আমতলি বাজারের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সুস্মিতা দেব নিজে আহত হয়েছেন। এই হামলার পরে শুধু গাড়ি ভাঙচুরই নয় সুস্মিতা দেবের ব্যাগ ছিনতাই করা হয় এবং সুস্মিতা দেবের ডান হাতে চোট লাগে।
তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, ‘আমরা আমতলি বাজারে এসেছিলাম আমাদের গাড়ি নিয়ে। আমরা এখানে দোকানদারদের সাথে কথা বলছিলাম। হঠাতই মাথায় তিলক লাগিয়ে তিন চার জন আমাদের গাড়ি ভেঙে কর্মীদের মেরে আমার ব্যাগ কেড়ে ধাক্কাধাক্কি করে। ওদের কোনও লজ্জা নেই। এতে প্রমান হল যে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার হবে নাহলে আমাদের উপর আক্রমন কেন হল’।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আমরা এই ঘটনার কড়া নিন্দা করছি। আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব ঘটনার উপরে নজর রাখছেন। যেভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটল তাতে এটা প্রমান হয়ে যাচ্ছে যে বিজেপি সরকার ভয় পেয়ে হামলা, মামলা ইত্যাদির চেষ্টা করছে। সবথেকে লজ্জার ঘটনা এই যে যেখানে তৃণমূল সব নিয়ম মেনে একটি কর্মসূচি পালন করছে সেখানে যখন সাংসদের উপরে হামলা হয়, ছিনতাই হয় তখন বোঝা যায় সেখানে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। অন্যদিকে কাটোয়ায় দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারের সামনেই তাদের দুই গোষ্ঠী মারামারি করছে। তারা একটি অরাজক, বিশৃঙ্খল এবং জোকার পার্টি। এদের সঙ্গে মানুষের কোন যোগাযোগ নেই। এরা দেশ বেচার পার্টি। মানুশ এদের দেখছেন। যত দিন যাচ্ছে তত জন বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন’।
ঘটনার পরে আমতলি থানায় যান সুস্মিতা দেব। সেখানে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এই ঘটনার পরেও তৃণমূলের প্রচার থামবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।