ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল বিজেপির অন্তর্কলহের ছবিটা। প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সভাপতির সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন দলের কর্মীরা। ভাঙচুর করা হল চেয়ার-টেবিল। এমনকী দলের কয়েকজন কর্মী প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তেড়েও গেলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কাটোয়ার দাঁইহাটের জেলা বিজেপি কার্যালয়।
এদিন বৈঠকে বসেছিলেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররা। ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি-সহ অন্যান্য কর্মীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, এই বৈঠকটি শুক্রবার বেলা তিনটে থেকে হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সকলকে জানানো হয়েছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ সকাল ১১টা থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে তা সারার চেষ্টা করেন জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের একাংশ।
শুরু হয়, চেয়ার ভাঙচুর, ধাক্কাধাক্কি, চড় চাপাটি থেকে বিজেপির পতাকা লাগানো লাঠি দিয়ে দলীয় কর্মীদেরই মারামারি। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ‘আমাদের রাজ্য সভাপতি ও দিলীপ ঘোষের বৈঠক। আমাদের বলা হয়েছিল সাড়ে তিনটের সময় বৈঠক হবে। কিন্তু চোরের মতো চুপি চুপি ১১টার সময় এখানকার জেলা নেতারা ওই বৈঠক সেরে ফেলতে চাইছেন। কারণ একটাই। এই জেলায় প্রচুর ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা ভোটের পর মার খেয়েছেন। জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ থেকে শুরু করে জেলা কমিটির কেউ আসেনি। ওরাই আজ চুপি চুপি বৈঠকটাও সেরে ফেলতে চাইছিল’।
এরপরই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। অভিযোগ জেলা সভাপতিকে বাঁচাতে চাইছেন দিলীপ। বিক্ষোভকারীদের কথায়, ‘ওদের লক্ষ্য কোনও ভাবেই রাজ্য সভাপতির কাছে যাতে বার্তা না যায়, এ জেলার দলের ভিতর বিক্ষোভ আছে। এর জন্য দায়ী দিলীপ ঘোষ। এই জেলা সভাপতিকে বাঁচানোর জন্যই উনি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ঘুরছেন। দিলীপ ঘোষের সায় রয়েছে’।