এখনও ভরাডুবির রেশ কাটেনি। গত বিধানসভা ভোটের মাস ছয়েকের মাথায় দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দিলীপ ঘোষ। বিক্ষোভের মুখে বিজেপির বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের কাটোয়ার দাঁইহাটে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা দলীয় দফতরের ওপর যখন হামলা চালায়, সেখানে তখন প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সভাপতি যথাক্রমে দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার সহ জেলা নেতৃত্বরা বৈঠক করছিলেন। ক্ষুব্ধ, উত্তেজিত দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গেল, “লাঠিচার্জ করা হবে এবার।” তখন তিনি উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছেন। দিলীপকে ঘিরে তখন কেন্দ্রীয় আধা সেনা।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের পর বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘিরে এইরকম ঘটনা আকছারই ঘটছে। উত্তেজিত দিলীপের ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে বিজেপির অন্দরে। ঘটনার সূত্রপাত এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ। দাঁইহাটে দলীয় বৈঠকে বসেন দিলীপরা। শুক্রবার থেকে জেলাওয়ারি সাংগঠনিক বৈঠক শুরু করেছেন দিলীপ ও সুকান্ত। শুক্রবার প্রথমে বৈঠক করেন বীরভূমে। তারপর দাঁইহাটে। এদিন হামলাকারীদের অভিযোগ, বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা তিনটে। কিন্তু তাদের এড়াতেই চুপিচুপি ১১টার সময় বৈঠক ডেকে দেন দিলীপ-সুকান্তরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনায় দল পাশে ছিল না। বৈঠকে এইসব অপ্রীতিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে বুঝেই আগেভাগে সভা সেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। দিলীপকে সরিয়ে সুকান্তকে সভাপতি করা হলেও রাজ্য বিজেপিতে ক্ষমতার ভারসাম্যে এখনও কোনও পরিবর্তন চাইছে না কেন্দ্র। সহ সভাপতি করা হলেও রাজের সংগঠনের জোর দিতে বলা হয়েছে। দিল্লির বার্তা পেয়েই দিলীপকে নিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন সুকান্ত। একাংশের ধারণা, দিলীপ-সুকান্ত বোঝাপড়া ভেঙে দিতেই এই হামলা।