তিনি বিজেপি নেতা৷ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন৷ এ হেন কল্যাণ চৌবে ভবানীপুরে দিনভর হিন্দুস্তান আওয়ামি মোর্চার প্রার্থীর মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট হয়ে ঘুরে বেড়ালেন৷ বিষয়টি জানাজানি হতেই কল্যাণ চৌবের দাবি, তৃণমূল রিগিং করছে কি না বুথে ঢুকে তা দেখতেই এই রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেছিলেন তিনি৷
ঘটনার সূত্রপাত ভবানীপুরের ভোটের দিন। সকাল থেকে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন বুথে বুথে ঘুরছিলেন কল্যাণ চৌবে৷ তাঁর অভিযোগ, বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ শরৎ বসু রোডের উপরে পদ্মপুকুর ক্রসিংয়ে তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর করাহয়।
এই ঘটনা ঘটার সময়ই কল্যাণ চৌবের কাছে থাকা নির্বাচন কমিশনের পরিচয়পত্রে দেখা যায় তিনি হিন্দুস্তান আওয়ামি মোর্চার প্রার্থী শতদ্রু চট্টোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট৷ এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কল্যাণ চৌবের জবাব, ‘আমি যা করছি নিয়মের মধ্যে থেকেই করছি৷ নির্বাচন কমিশন আমাকে পরিচয় পত্র দিয়েছে, তা নিয়ে আমি বিভিন্ন বুথে ঘুরতেই পারি৷ ভোটের সময় সব দলই এটা করে৷ এটা নতুন কিছু নয়৷’
তৃণমূল শিবিরের অবশ্য দাবি, কল্যাণ চৌবের গাড়িতে হামলার ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই৷ পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, রাস্তায় বাইক আরোহী যুবকদের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়৷ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই৷
কল্যাণ চৌবের হিন্দুস্তান আওয়ামি মোর্চার এজেন্ট হওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘এতো এক ধরনের প্রতারণা৷ উনি নিজেকে বিজেপি নেতা বলে দাবি করেন,অথচ এজেন্ট হয়েছেন অন্য দলের৷ আয়নায় নিজের মুখটা দেখতে পারবেন তো?’