যোগী সরকারের উন্নয়ন-বিজ্ঞাপনে কলকাতার ‘মা’ উড়ালপুলের ছবি। সারাদিন এই নিয়েই উত্তাল রাজনৈতিকমহল। আর এই প্রেক্ষিতেই সাংবাদিক বৈঠকে যোগী আদিত্যনাথকে ‘ঠগী’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র সমীর চক্রবর্তী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সমীর চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। সমীরবাবু বলেন, বাংলার উন্নয়ন দেখানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই যোগীর কাছে। তাঁর রাজ্যের উন্নয়ন দেখাতে হলে দেখাতে হবে হাথরাস কান্ড, দলিতদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা। তিনি বলেন, “২০২০ সালেই উত্তরপ্রদেশে ৫ জন সাংবাদিক মারা গেছেন। মানুষ সেখানে বিচার পায় না।”
পাশাপাশি সমীরবাবু বলেন, “মেয়েদের নিরাপত্তা নেই, বেকারত্ব বাড়ছে, কোভিড পরিস্থিতি সামলাতেও অক্ষম যোগী সরকার। গুজরাত থেকে ভেসে আসা লাশের সৎকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে করতে হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে।” তিনি আরও বলেন, “আজ নকল করেই বাংলার উন্নয়কে স্বীকৃতি দিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপি শাসিত কোন রাজ্যে উন্নয়ন হয়নি তাই ভোট আসার আগে রাজ্যগুলিতে মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হচ্ছে আর মুখ্যমন্ত্রীর ওপর দায় চাপানো হচ্ছে।”
বিজেপিকে প্রবল কটাক্ষ করে ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “আজ তো একটা উন্নয়নের ছবি দেওয়া হয়েছে আমরা আরও আইডিয়া দিতে পারি। তাই নিয়ে বিজ্ঞাপন করুক যোগী সরকার।” গ্রামীণ রাস্তা তৈরির থেকে দুর্নীতির পরিসংখ্যান, তপশিলি জাতির বিরুদ্ধে হিংসা কিংবা একশো দিনের কাজ, হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা থেকে নিরাপত্তা, পরিসংখ্যান দিয়ে ডেরেক দেখিয়ে দেন নানা ক্ষেত্রে উত্তর প্রদেশের তুলনায় এগিয়ে বাংলা। এছাড়াও সাংসদ বলেন, “সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ বিল পেশ হওয়া আজকে ২৫ বছর পেরিয়ে গেল। কিন্তু পাশ হল না সেই বিল। সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০% মহিলা প্রতিনিধি, যা প্রস্তাবিত ৩৩% এর থেকেও ৭% বেশি।”