আত্মবিশ্বাসী ত্রিপুরার তৃণমূল ব্রিগেড। ‘ত্রিপুরায় বাড়ছে এনার্জি, আসছেন অভিষেক ব্যানার্জি।’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সফরের আগে এটাই এখন ত্রিপুরায় দলের ক্যাচলাইন। তাই বদ্ধ ঘরে জোড়া ফুল শিবিরের সমস্ত পক্ষকে সঙ্গে নিয়েই মিটিং করলেন কুণাল ঘোষ ও সুস্মিতা দেব। যেখানে হাজির ছিলেন আশিস লাল সিংহ, সুবল ভৌমিক, মামুন খান। পাহাড় থেকে সংখ্যালঘু সমস্ত পক্ষের নেতাদের সঙ্গে নিয়েই অভিষেকের সফর সফল করতে উঠেপড়ে নেমেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, এদিন আগরতলা শহরের এক হোটেলে এই বৈঠক হয়৷ যেখানে সকলকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সকলকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস একটা সংঘবদ্ধ দল। এ ভাবেই ২০২৩-র লক্ষ্যে তারা সাংগঠনিক শক্তিকে একজোট করে রেখে এগোবে। আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। দুপুর ২ সময় অভিষেকের মিছিল। রবীন্দ্রভবন থেকে ওরিয়েন্ট চৌমহনী পর্যন্ত হবে মিছিল। মিছিল শেষ করে সভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি৷ ইতিমধ্যেই মিছিলের জন্যে প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
ত্রিপুরা জুড়ে সন্ত্রাস, অপশাসন, বেকারত্ব, মিডিয়া সন্ত্রাসের মতো ইস্যুকে সামনে রেখেই ত্রিপুরার তৃণমূল সংগঠন এই মিছিলের ডাক দিয়েছে।রবিবার এই মিছিলের প্রস্তুতি নিয়েই একযোগে তৃণমূলের সব নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক হয়। মিছিলকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ আরও চড়বে৷ কারণ ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপানোর পর এই প্রথমবার রাজ্যের রাজধানীতে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করবে তৃণমূল৷ গত দু’মাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক৷ আগামী বুধবারের মিছিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও দলের একাধিক সাংসদ, বিধায়ক উপস্থিত থাকতে পারেন৷
এবিষয়ে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক বলেন, “ত্রিপুরার সর্বত্র ব্যাপক হিংসা শুরু হয়েছে৷ এই রাজ্যে এখন অপশাসন চলছে, ফ্যাসিস্ট শাসন চলছে৷ মানুষ পরিবর্তন চাইছেন বলেই আগামী ১৫ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসে পরিবর্তনের ডাক দেবেন৷” এই মুহূর্তে ত্রিপুরার রাজননৈতিক পরিবেশ যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে৷ গত কয়েকদিন ধরেই সিপিএম-বিজেপি সংঘর্ষে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাজধানী আগরতলায় সিপিএমের রাজ্য দফতর-সহ বেশ কয়েকটি পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে৷ পুড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ি৷ সেই ঘটনায় সিপিএমের পাশেই দাঁড়িয়েছে তৃণমূল৷ এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের মিছিলকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তপ্ত হতে পারে ত্রিপুরা৷ কারণ ত্রিপুরায় প্রথম বার পা দিয়েও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ তারপর থেকে একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে দলীয় নেতা, কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল৷