হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন। বুধবার নির্বাচনের প্রচারে নেমেই কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চেতলার কর্মিসভা থেকে অভিযোগ করলেন, ভোটের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে পরিকল্পনামাফিক ব্যবহার করছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ।
এদিনের কর্মিসভার শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে তুলোধোনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এজেন্সি-সহ সমস্ত শক্তির সঙ্গে আমরা লড়াই চালিয়েছি। বিজেপি কোনওদিন কারও সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে পারেনি। কংগ্রেসের সঙ্গে পারেনি। ওদেরও এজেন্সি দেখিয়েছিল। এখন আমাদের যাকে খুশি ডাকছে ইডি, সিবিআই’। কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অকারণে মামলাটা দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল। ৯ ঘণ্টা জেরার পর ফের ডাকা হল, কেন এমনটা হবে’।
তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, নির্বাচন ঘোষণা হলেই এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই তলব করেছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিলেন মোদি ও শাহকে। তুলে আনলেন নারদ কাণ্ডও। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও পর্যাপ্ত কারণ ছাড়াই ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ডাকা হল। কিন্তু যিনি আসল অপরাধী, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি’।
কটাক্ষের সুরে ভবানীপুরের প্রার্থী আরও বললেন, ‘ওঁদের সংস্থা ডাকলে, আমাদের নেতাদের যেতে হবে। কিন্তু আমাদের সংস্থা বিজেপির কাউকে ডাকলে, তাঁরা হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না’। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করলেন, ভোটের লড়াইয়ে টেক্কা দিতে পারছে না বলেই অন্য পথে তৃণমূলকে জব্দ করতে চাইছে বিজেপি।