কয়লা মামলায় গত সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ন’ঘণ্টা জেরা করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার সকালেই জানা গিয়েছে, আইকোর মামলায় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। যা নিয়ে বিকেলে ভবানীপুর উপনির্বাচনের কর্মীসভায় গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজেন্সির উদ্দেশে তৃণমূলনেত্রীর হুঙ্কার, “এখানকার মামলায় দিল্লীতে নিয়ে যাচ্ছেন কেন? কার গালে চুমু খেতে? ক্ষমতা থাকলে কলকাতায় ডাকুন। কলকাতায় তো আপনাদের অফিস রয়েছে।”
মমতা এদিন আরও বলেন, তাঁকে আঘাত করার জন্যই অভিষেককে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। নারদ তদন্ত নিয়েও এদিন তোপ দাগেন মমতা। তাঁর কথায়, “নারদ কেসে সুব্রতদা, ববির নাম আছে। আর যে আসল টাকা নিয়েছে তার নাম নেই।” শুধু তাই নয়। কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলকেও এজেন্সি দেখিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর কথায়, “এজেন্সি দেখিয়ে কংগ্রেসকে জব্দ করেছে, মুলায়ম সিং যাদবকে জব্দ করেছে, শারদ পাওয়ারকে জব্দ করেছে। কিন্তু কাউকে কাউকে ওরা জব্দ করতে পারেনি। পারবেও না।”
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এজেন্সিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন নয়। এদিন আরও একবার সেই অভিযোগ তুলে মোদী-শাহকে নিশানা করলেন মমতা। তাঁর কথায়, “শুধুমাত্র আমাকে জব্দ করার জন্য অভিষেককে ডেকে ন’ঘণ্টা হেনস্থা করেছে। আজকে ডেকে বলছে কালকেও আসতে হবে। চোরের মায়ের বড় গলা। নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ এই দুজনে মিলে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। নির্বাচন ঘোষণা হল ওমনি এজেন্সি কে নামানো হল। অভিষেককে ডাকা হল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডাকা হল।” মমতা এদিন বোঝাতে চান, রাজনীতিতে পেরে উঠছে না বলেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।