স্ত্রীর গলায় কুকুরের বেল্ট জড়িয়ে খুন করলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক পদস্থ অফিসার। তার পর নিজেই বাইক চালিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করলেন ওই ব্যাঙ্ক কর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের বামুনারা এলাকায়। সেখানে একটি বহুতল আবাসনে থাকতেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার বিপ্লব পরিয়াদ ও তার স্ত্রী ইপসা প্রিয়দর্শিনী। রবিবার রাতে বাইক চালিয়ে কাঁকসা থানায় এসে বিপ্লব জানান, তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করে এসেছেন।
বিপ্লবের কথা শুনে পুলিশ তাঁকে নিয়ে আবাসনে যায়। দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে প্রিয়দর্শিনীর দেহ। বিপ্লবের আসল বাড়ি ওড়িশায়। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, উনিশ সালে বাড়ির লোকেরাই দেখেশুনে তাঁদের বিয়ে দেন। প্রিয়দর্শিনীর বাড়ি কটকে। তার পর কাজের সূত্রে কাঁকসায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে দম্পতি। বিপ্লবের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তিনি কখনও শান্তিতে থাকেননি।
বিপ্লবের বক্তব্য, প্রিয়দর্শিনী কোনও কথাই শুনতে চাইতেন না, যখন যেটা চাইবেন, তখনই সেটা চাই। রবিবার এ ভাবেই বচসার শুরু হয়। তার পর মাথা ঠান্ডা রাখতে না পেরে পোষা কুকুরের গলার বেল্ট দিয়ে তার স্ত্রীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করেন তিনি। কাঁকসা থানার তরফে ইতিমধ্যেই প্রিয়দর্শিনীর বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, বিপ্লবের কথার উপর তাঁরা পুরো ভরসা করছেন না। হতে পারে ওই ব্যাঙ্ক কর্তা সত্যি কথা বলছেন। কারণ খুন করে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে প্রতিবেশি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বললে গোটা ঘটনা আরও স্পষ্ট হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
স্ত্রীর বায়নাক্কা বাড়তে বাড়তে গিয়েছে। প্রায়ই শপিংয়ে যেতে চান, বেড়াতে যাওয়ার আবদার করতেন। বিপ্লবের এও দাবি, সকাল বিকেলের রান্নাও নাকি তিনিই করতেন। স্ত্রীর কখনও মুড হলে রান্না করতেন, নইলে করতেন না। পুলিশকে বিপ্লব বলেছেন, প্রিয়দর্শিনীর জ্বালাতনে তিনি অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন। স্ত্রী নাকি এ বার বায়না করছিলেন যে কলকাতায় গিয়ে ফ্যাশন টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চান।