“বাংলার পর ভারতের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরায় সরকার গঠন করবে তৃণমূল। ২০২৩ সালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করে সেখানকার মানুষ আমাদের ক্ষমতায় বসাবেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হবে তৃণমূল কংগ্রেসেরই।” ত্রিপুরা থেকে ফিরে আসানসোলের রাজনৈতিক মঞ্চে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটকের গলায় ধরা পড়ল আত্মবিশ্বাসের সুর। বাংলার পরিবর্তনের সময়ের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিবেশের কোথায় কোথায় মিল রয়েছে তারও ব্যাখ্যা দেন তিনি। শনিবার আসানসোল মহকুমার দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন নব নির্বাচিত ব্লক সভাপতি সহ পদাধিকারীরা। সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রাশ টানার কথা জানান নেতারা। পুরভোটের প্রস্তুতির সুরও বেঁধে দেওয়া হয়। একইভাবে আইএনটিটিইউসির নাম করে কোনও চাঁদা নেওয়া যাবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসনে জয়লাভের পরই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এবার অন্য রাজ্যেও লড়ব, জেতার জন্যই লড়ব।” তা যে কেবলই মুখের কথা ছিল না, তার প্রমাণ মিলছে ত্রিপুরায়। প্রতিদিন নিয়ম করে সেখানকার তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে এবং তৃণমূল কর্মীদের উপর মামলা দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনাই বলে দিচ্ছে, ত্রিপুরায় বাড়ছে ঘাসফুলের কর্তৃত্ব। দলের নির্দেশে বারবার ত্রিপুরায় ছুটে গিয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। আইনমন্ত্রী সেখানকার কর্মীদের জামিন করানো সহ আক্রান্ত কর্মীদের পাশে থেকেছেন। দীর্ঘ সময় ত্রিপুরায় কাটিয়ে আসানসোলের ফিরেই আত্মবিশ্বাসী তিনি। মহকুমার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে মাইক হতে ত্রিপুরা নিয়ে মন্ত্রীর আশ্বাস শুনতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
এদিন সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরা যেন দ্বিতীয় বাংলা। বাংলার মতো সেখানেও দীর্ঘ বাম শাসনে মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে সেখানেও বামেদের মেলবন্ধন ছিল। তাই বিকল্প হিসেবে কাউকে না পেয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু, শেষ পাঁচ বছর বিজেপি যা অত্যাচার করেছে, তাতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সেখানকার মানুষ বিকল্প খুঁজছিল। বাংলায় যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপিকে রুখে দেওয়া গিয়েছে। তা দেখে ত্রিপুরাবাসী মনে করতে শুরু করেছে তৃণমূলই পারবে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে উৎখাত করতে। তাঁদের আহ্বানেই আমরা যেতেই বিজেপির ঘুম উবে গিয়েছে।”