পুরোপুরি করোনা বিধি অনুসরণ করে পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক নিয়ে যাত্রা মঞ্চস্থ করার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। সরকারি তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে একথা। এই খবর পৌঁছোনো মাত্র চিৎপুর যাত্রা পাড়ায় খুশির আমেজ দেখা গিয়েছে। অপেরা কর্তা ও যাত্রা শিল্পীদের একাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সরকারি তরফে এই ‘ছাড়পত্র’ মেলার পরই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে চলতি যাত্রা মরশুমের জন্য মহড়া। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ষষ্ঠীর দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে বাংলার নানান প্রান্তে যাত্রাপালার আসর।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন অপেরা অফিসে যাত্রাপালার বুকিংও। করোনার প্রকোপের কারণে এবারও রথের দিন বিভিন্ন অপেরা অফিসগুলি ছিল একেবারে ফাঁকা। ওইদিন হয়নি কোনও বায়না। ফলে অপেরা কর্তা, শিল্পী কলাকুশলী সহ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলেই মনমরা হয়ে ছিল। কবে নাগাদ যাত্রা করার সরকারি ছাড়পত্র মিলবে তা নিয়ে ছিল তাঁদের মধ্যে কৌতূহল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সরকারি তরফ থেকে অনুমোদন মেলায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে চিৎপুর যাত্রাপাড়ার মানুষজন। এছাড়াও, ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা কোচিং সেন্টার খোলার অনুমতিও দিল রাজ্য সরকার। শনিবার নবান্নের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় কোভিড প্রোটোকল মেনে ওই ধরনের কোচিং সেন্টার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।