১৯৬২ সালে তৈরি হিয়েছিল টালা ব্রিজ। ১৫০ টন ভার বহনের ক্ষমতা ছিল সেই পুরোনো ব্রিজের। কিন্তু যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ৫০ বছর পরেই ব্রিজের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে ওঠে। আর তাই পর্যবেক্ষণের পর দ্রুত মেরামতির প্রয়োজন বলে রিপোর্ট দেন ইঞ্জিনিয়াররা। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় ভেঙে নতুন করে চার লেনের ব্রিজ করা হবে। সেই মতো ব্রিজের নীচের বসবাসকারীদের সরিয়ে ২০২০-র ফেব্রুয়ারি থেকে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। ২০২২-এর ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা নতুন ব্রিজের কাজ।
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে চলছে ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজ, সঙ্গে ফেন্সিং দেওয়ার কাজ। বর্ষার দাপটে প্রায়ই থমকে যাচ্ছে সেতু তৈরি আয়োজন। বৃষ্টি কমলে ফের কাজে নামছেন শ্রমিকরা। ৬১০ মিটার লম্বা ২৪ মিটার চওড়া এই ব্রিজের কাজ এখন মধ্যগগনে। প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, দু’দিকে পিলার দিয়ে চার লেনের কেবল স্টেয়ড দিয়ে ঝুলবে এই টালা ব্রিজ। ব্রিজের নীচ দিয়ে গেছে রেললাইন। ব্রিজের ২৪০ মিটার অংশ আছে এই রেলের ওপর। অনুমতি মেলার পর সেই অংশের কাজ চলছে। দ্রুত শেষ করার ইচ্ছা থাকলেও বাঁধ সাধছে প্রকৃতি। বর্ষার কারণে ধীর গতিতে এগোচ্ছে কাজ। যার ফলে নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উত্তর কলকাতার মানুষের। কারণ বিকল্প রাস্তায় বেজায় যানজটের শিকার হন যাত্রীরা।
আসলে, এলাকার মানুষদেরও এপার থেকে ওপার যেতে পেরোতে হয় রেললাইন। দীর্ঘপথ ঘুরে পাইকপাড়া থেকে শ্যামবাজার আসতে হয় বাসিন্দাদের। এছাড়াও আওয়াজ, ধুলোর দাপট থেকেও নিস্তার নেই এলাকাবাসীর। যদিও তাঁরা বলছেন, ‘কিছু ভালর জন্য একটু কষ্ট তো সহ্য করতেই হবে।’ তাঁদের কথায়, ‘আওয়াজ ও ধুলোর জন্য প্রথম দিকে একটু অসুবিধা হয়েছিল ঠিকই। তবে এখন সেই সমস্যা নেই।’ ব্রিজের কাজের সঙ্গে যুক্ত এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, ‘কাজ চলছে। আশা করছি পরের বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে বর্ষার জন্য কমে গেছে কাজের গতি।’ ব্রিজ তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মীর কথায়, ‘বৃষ্টি পড়লে কাজ বন্ধ থাকে, আবার কাজ শুরু হয়। রাতের দিকেও কাজ চলে মাঝে মধ্যে।’