অবশেষে সরিয়েই দেওয়া হল। উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করা হল মহুয়া দাসকে। ফল প্রকাশের সময় ছাত্রীর ধর্ম পরিচয় উল্লেখ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তার জেরেই এই অপসারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মহুয়া দাসের জায়গায় উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের নতুন সভাপতি হচ্ছেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য। আগামী ৪ বছরের জন্য দায়িত্বভার সামলাবেন তিনি। যদিও মহুয়া এখনও আপসারণের চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন।
উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। সাংবাদিক বৈঠকে রেজাল্ট ঘোষণার সময় মহুয়া বলেছিলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকে একক ভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন এক মুসলিম কন্যা। মুর্শিদাবাদ জেলার এক মুসলিম গার্ল’। এরপ্রই জোর বিতর্ক শুরু হয়। কৃতী ছাত্রীর পরিচয় দিতে গিয়ে কেন ধর্মের উল্লেখ? এই প্রশ্ন তুলে শোরগোল শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। তাঁর পদত্যাগের দাবি তোলেন শিক্ষামহলের একাংশ।
ঘটনার জেরে মহুয়া দাসকে নবান্নে ডেকে পাঠানো হয়। তারপরই সাফাই দিয়ে তিনি বলেন, ‘আবেগের বশে বলে ফেলেছি’।কিন্তু তাতে ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। এর পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়েও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। পরীক্ষা হয়নি, কিন্তু কেন তারপরেও কেন তাঁদের ফেল করানো হল সেই প্রশ্নে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ-অবরোধ করেন পরীক্ষার্থী। শেষ পর্যন্ত সবাইকেই পাশ করানোর সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা দফতর। এই নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়। এসবের জেরেই উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে মহুয়া দাসকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।