আজ দক্ষিণবঙ্গে এই ঘোর বর্ষণের দিনে হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটলো বিজেপি শিবিরে! যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিকেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই। তবে পদত্যাগ করলেও এখনও দলের সঙ্গেই রয়েছেন বলে জানিয়েছে সৌমিত্র। কিন্তু বিজেপি সাংসদের এই সিদ্ধান্ত উস্কে দিয়েছে দলবদলের জল্পনা।
ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে একাধিক নেতা বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন ভোটের কৌশল নিয়ে। অনেকেই দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের দুষেছেন। দল ছেড়ে অনেক দাপুটে নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে ভিড়েছেন। তাঁদের অনেকেরই দাবি, দলে গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না। তবে নেতা-কর্মীদের একত্রিত করে রাখতে মরিয়া বিজেপি।
বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌমিত্র খাঁ জানালেন, যুব মোর্চার সভাপতি পদ ত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা। ফেসবুক ও টুইটারে তিনি লেখেন, “আমি আজ থেকে ব্যক্তিগত কারণে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। তবে বিজেপিতে ছিলাম, আছি, আর আগামীতেও থাকব। ভারত মাতা কি জয়।”
সৌমিত্র খাঁর এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই দলবদলের জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেরই ধারণা ফের তৃণমূলে ফিরে যাবেন সৌমিত্র। যদিও এদিনও বিজেপি সাংসদ সাফ জানিয়েছেন, তিনি গেরুয়া শিবিরেই রয়েছেন। ওয়াকিবহলের মতে, সৌমিত্র খাঁর এই পদত্যাগের নেপথ্যে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। কোনওদিনই দিলীপ-সৌমিত্র সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। সেই মতানৈক্যের কারণেই হয়তো এই দলত্যাগ। তবে শুধু মাত্র দিলীপ ঘোষ নন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সৌমিত্র খাঁর ঠাণ্ডা যুদ্ধ সর্বজনবিদিত।