কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘মক ড্রিল’-এর অংশ হিসেবে পাঁচ মিনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অক্সিজেনের জোগান। আর তার জেরেই উত্তরপ্রদেশের আগ্রার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল একাধিক কোভিড রোগীর। তবে মক ড্রিলের কারণে মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করে ওই হাসপাতালকে ক্লিনচিট দিল রাজ্যের যোগী সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল আগরার শ্রী পরশ হাসপাতালে ১৬ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয় অক্সিজেনের অভাবে। অভিযোগ ওঠে, মক ড্রিলের কারণে হাসপাতালের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। আর তাতেই মৃত্যু হয় ১৬ কোভিড রোগীর। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে দাবি করা হয়েছে, যে ১৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তার জন্য ‘মক ড্রিল’-এর ঘটনা দায়ী নয়। ওই রোগীদের অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। কোমর্বিডিটির কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কোভিড বিধি মেনে ওই রোগীদের চিকিৎসা করা হচ্ছিল। তদন্ত করার পর দেখা গিয়েছে যে, তাঁদের কারওরই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি।
যদিও এক ভাইরাল ভিডিওয় এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, আমি মক ড্রিলের মতো একটা পরিকল্পনা করি এবং যাঁদের অক্সিজেন জোগান বন্ধ করা যাবে, তাঁদের চিহ্নিত করার জন্য হাসপাতালের কর্মীদের নির্দেশ দিই। তার জন্যই গত ২৬ এপ্রিল হাসপাতালে পাঁচ মিনিটের জন্য অক্সিজেনের জোগান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন খবর’। তবে সেখানে যে ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁকে আগ্রার পরশ হাসপাতালের মালিক আরিঞ্জয় জৈন বলে দাবি করা হয়েছিল।