জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহরে ২ যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সিইএসসি-র কর্মীদের শোকজ করলেন বিদুৎদফতর। টানা বৃষ্টিতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জমেছে জল। তাতেই বিপত্তি। বুধ এবং বৃহস্পতিবার পরপর দু’দিন জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ যুবকের। এই ঘটনায় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ৩ কর্মীকে শোকজ করলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এই ঘটনায় তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। শনিবার দুপুরের মধ্যেই শোকজের জবাব চেয়েছেন তিনি। এর আগে রাজভবনের সামনে এভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুরসভার তরফে তদন্ত কমিটি গড়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এবার জোড়া মৃত্যুর ঘটনাতেও ব্যবস্থা নিল প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার রাতে হরিদেবপুরের কাছে বাইক নিয়ে জমা জল পেরিয়ে ফেরার সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় জোকার বাসিন্দা মানিক বাড়ুইয়ের। শুক্রবার জমা জলে মাছ ধরতে গিয়ে পাটুলিতে প্রাণহানি হয় সুজয় মণ্ডল নামে আরেক যুবকের। কেন রাস্তায় খোলা অবস্থায় বিদ্যুতের তার পড়ে ছিল? এই জোড়া মৃত্যুতে সিইএসসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর তারপর শনিবার ওই এলাকায় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সিইএসসি-র কর্মীদের শোকজ করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তাঁদের বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। শোকজের জবাব পেলে বিকেলের মধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিদ্যুৎ দফতর, সূত্রের খবর এমনই।
বৃষ্টিতে কলকাতার রাস্তায় জল জমা, বিদ্যুতের তার পড়ে থাকা এবং তাতে দুর্ঘটনা নতুন নয়। এ বিষয়ে একাধিকবার বিদ্যুৎ দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ সংস্থাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটতে থাকা কড়া প্রশাসন। এর আগে মে মাসে ঝড়বৃষ্টিতে রাজভবনের সামনে এভাবেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের যুবক ঋষভ মণ্ডল। এই ঘটনায় কলকাতা পুরসভা নিজে উদ্যোগ নিয়ে তদন্ত কমিটি তৈরি করে। মামলা শুরু করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। আর এবারের জোড়া মৃত্যুতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন রাজ্যের নয়া বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।