বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর একদিকে যখন গেরুয়া শিবিরের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা, বারবারই সামনে এসে পড়ছে নেতৃত্বের মধ্যে কলহ। তখন অন্যদিকে ভাঙন অব্যাহত দলে। গতকালই সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছে পদ্মশিবির। দলত্যাগ করে সপুত্র তৃণমূলে ফিরেছেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। আর এবার বসিরহাটের স্বরূপনগরে হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি এবং সিপিএমের কৃষক নেতা-সহ তিনশোর বেশি কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। শনিবার, তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা স্বরূপনগরের বিধায়ক বীণা মন্ডল ও বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আনিসঊদ্দিন গাজী-সহ একাধিক নেতৃত্ব।
সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আতাউর রহমান বলেন, ‘বিজেপি একটি সাম্প্রদায়িক দল। বিজেপিকে বাংলা থেকে উৎখাত করতে শক্তিশালী সংগঠনের প্রয়োজন। সেই সংগঠন বা দলের নাম তৃণমূল। যেভাবে তৃণমূল উন্নয়ন করছে, কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ করছে তা নজিরবিহীন। শুধু তাই নয়, কৃষকদের কথাও ভেবেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা আশা করি দিদি আমাদের কথা চিন্তা করবেন এবং আমরা যথাযথ সম্মান পাব।’ বিধায়ক বীণা মণ্ডল বলেন, ‘বাংলার মানুষ ভালমন্দ বুঝতে পারছে। যাঁরা আজ যোগ দিলেন তাঁরা স্বেচ্ছায় এই দলে এসেছেন।’ পাশাপাশি, মুকুল রায়ের দলে ফেরার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা তো পার্টির হাইকম্যান্ডের ব্যাপার। তাঁদের নির্দেশেই হয়েছে। তাছাড়া মুকুলবাবু তো দীর্ঘদিন আমাদের দলেই ছিলেন। উনি কত পুরনো নেতা। উনি দলে ফেরায় সকলেই খুশি। আশা করছি, ওঁকে সঙ্গে নিয়েই আমরা আগামী লোকসভা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়ী হব।’