অতিসম্প্রতি দিল্লীতে শুভেন্দু অধিকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে বাংলার রাজনৈতিক মহল। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্তের একটি ফেসবুক পোস্ট জল্পনার সঙ্গে বাড়াচ্ছে গেরুয়াশিবিরের মাথাব্যথা। কারণ এবার আলাদা সুর ধরা পড়ল রন্তিদেবের গলাতেও। সাংবাদিক ছিলেন তিনি। পরে হয়েছিলেন রাজনীতিবিদ। নির্বাচনী লড়াইয়ে বারবার পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে তাঁকে। তাই কি এবার সরে আসতে চাইছেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন। বাড়ছে পদ্মশিবিরের অস্বস্তি।
বিজেপি নেতা লিখেছেন, “গত একমাস ফের নিজেকে বইয়ের কাছে ফিরিয়ে আনলাম। পুরনো কিছু বই আবার নতুন করে পড়ে ফেলা গেল। আমার পাঠভ্যাস বরাবরই আমাকে ঋদ্ধ করেছে। আমার যুক্তিকে সতেজ করেছে। কুৎসাকে অবজ্ঞা করতে শিখিয়েছে। আমি এখন যতই পাঠের গভীরে যাই ততই বুঝতে পারি রাজনীতি, তা সে যে পক্ষেরই হোক না কেন, তা আসলে মুক্ত চিন্তাকে হত্যা করে। আমি সেই বন্ধ্যাত্বের জগতে আর ফিরতে চাই না।” অর্থাৎ রাজনীতির আঙিনায় তিনি আর ফিরবেন না সে কথাই বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
পোস্টটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এমনকী শুরু হয়েছে গুঞ্জনও। তাহলে কি শেষমেশ রন্তিদেবও গেরুয়া রং ত্যাগ করতে চলেছেন? উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন, “সমালোচনা তো অনেক হল… মানুষের বিপুল জমসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি, আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেবে না।” এই টুইটের পরই অসন্তোষ বিজেপির রাজ্য-নেতৃত্বের অন্দরে। মেনে নিতে পারেননি স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারীও। তাই তিনি পাল্টা বলেন, “ডোমজুড়ের বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া উচিত।”