ঘূ্র্ণিঝড় ইয়াসের পরেই ফের উপকূলে সৃষ্টি হতে চলেছে নিম্নচাপ। তার পূর্বাভাস মতোই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শনিবার বিকেল থেকে শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত। একইদিনে, তিন জেলায় বজ্রাঘাতে মারা যান ৯ জন, জখম হন বেশ কয়েকজন। শনিবার রাতে, সেই খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে জানান,মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে। সেইমতো, রবিবার, জেলায় জেলায় মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রীরা।
মুর্শিদাবাদে, দৌতলাবাদের ছয়ঘড়ি এলাকার বাসিন্দা বাষট্টি বছরের ইনারানি দাস শনিবার বজ্রাঘাতে মারা যান। রবিবার, মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পরিজনদের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক ও সমব্যাথি প্রকল্পের ২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। উপস্থিত ছিলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরাও। এদিন, মন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, ‘মাঝে মাঝেই বাজ পড়ে এই ধরনের মৃত্যু ঘটছে। শুধু দৌলতাবাদে নয়, ভাগলপুর-সহ একাধিক এলাকায় মাঝে মধ্যেই এমন ঘটনার খবর পাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী এই খবর গতকাল রাতে শোনার পরেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন যে মৃতদের পরিবারকে সাহায্য করতে হবে। যদিও, টাকা দিয়ে মানুষকে ফিরিয়ে আনা যায়না। তবে এই পরিস্থিতিতে এই সাহায্যটুকু করেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। পাশাপাশি, গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে, এই ধরনের আবহাওয়ায় যতদূর সম্ভব যাতে তাঁরা বাড়িতে থাকেন। রাস্তায় থাকলেও যেন তাঁরা নিরাপদস্থানে আশ্রয় নেন। সরকার মানুষের পাশে আছে’।
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে বজ্রাঘাতে মারা যান চারজন। মৃত রঞ্জিত গোয়ালা,অরূপ বাদ, শম্ভুচরণ দাস ও অধীর মালিক শনিবার নিজেদের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যান। রঞ্জিত গোয়ালার শ্যালক মনু বাউড়ি গুরুতর জখম হন। রবিবার, চার মৃতের পরিবারের হাতে দুলক্ষ টাকার চেক এবং আহত মনু বাউড়ির পরিবারের হাতে ৫০হাজার চেক তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি, জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহমুদ খান। এদিন, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই পরিবারগুলির হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হল। পরে যদি অন্য কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাও সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে। সরকার মানুষের পাশে আছে’।