এবার প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল ফেসবুক। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হিংসাত্মক আক্রমণে সংস্থার নিয়মকানুন ভাঙার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা। গত ৭ই জানুয়ারি থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর। অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। ফেসবুকের স্বাধীন পর্যবেক্ষক সংস্থা ট্রাম্পের অনির্দিষ্ট কালের বয়কট নিয়ে পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলছেন, “ঘটনার গুরুত্বের কারণেই ট্রাম্পকে বয়কট করা। আমরা মনে করি তাঁর প্রতিক্রিয়া আমাদের নিয়ম ভেঙেছে। এবং সেই ভুল সর্বোচ্চ শাস্তির যোগ্য আমাদের বিধি অনুযায়ী।”
পাশাপাশি ফেসবুক আরও বলছে, এরপর থেকে কোনও রাজনৈতিককেই নীতিবিরুদ্ধ অবমাননাকর মন্তব্যের পরেও রেয়াত করার প্রশ্ন নেই। বক্তব্য়ে গুরুত্ব বুঝেই পদক্ষেপ করবে সংস্থা। ক্লেগের কথায়, “আমরা যদি বুঝি এই মেয়াদের পরেও জনগণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে তবে আমরা বয়কটের মেয়াদ আরও বাড়াব, যতদিন না সাধারণ মানুষ আশঙ্কা মুক্ত হচ্ছেন ততদিন ফেসবুকে আসতে পারবেন না তিনি।” ক্লেগের কথায়, “আমরা জানি আমাদের সিদ্ধান্তের বহু বিরূপ সমালোচনা হবে। বিশেষত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাদের এক হাত নেবে। কিন্তু আমাদের কাজ হল সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, পর্যবেক্ষকদের মতামতের উপর দাঁড়িয়ে স্বচ্ছ মতদান।”
যদিত এত কিছুর পর ট্রাম্প আছেন নিজের মেজাজেই। তাঁর মতে এই সিদ্ধান্ত ভোটারদের অবমাননা। তিনি এখনও দাবি করেন ২০২০ নির্বাচনে তাঁকে একরকম জোর করে হারানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “এই নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কাজে ফেসবুককে অনুমোদন দেওয়া উচিত না।” ঘটনার বিরূপ সমালোচনা করেছেন মিডিয়া ম্যাটারস ফর আমেরিকা নামক সংস্থার সভ্য অ্যাঞ্জেলো কারুসন। তাঁর কথায়, “ফেসবুক যদি দু’বছর পর এই বয়কট তুলে নেয় তবে এই প্ল্যাটফর্মে চরমপন্থার বাদ্য বাজবে।”