অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশের আছড়ে পড়ার দিনই ঝড়-জল মাথায় করে নিজের কেন্দ্রে ছুটেছিলেন তিনি। এলাকাবাসীর খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি ঘুরে দেখেছিলেন ত্রাণ শিবিরগুলি। এবার যশ বিধ্বস্ত পাথরপ্রতিমায় গেলেন যুব তৃণমূল সভাপিতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপথে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। কোন কোন এলাকায় ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। ত্রাণ শিবিরে থাকা দুর্গতদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
গত ২৬ মে নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই উড়িষ্যার বালাসোরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় যশ। তার প্রভাব পড়ে বাংলাতেও। দীঘা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। পাথরপ্রতিমা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন গ্রাম চলে যায় জলের তলায়। বুধবার সেই গ্রামগুলি ঘুরে দেখার কথা ছিল অভিষেকের। এদিন সকালে প্রথমেই দেবীচকের ত্রাণশিবিরে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক-সহ দলের একাধিক নেতানেত্রী। দেবীচকের ত্রাণ শিবিরে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। রাজ্য সরকারের নির্ধারিত প্যাকেজ অনুযায়ী দুর্গতরা ত্রাণ পাবেন বলে জানান তিনি।
অভিষেক বলেন, ‘আপনাদের বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতি হলে ২০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য পাবেন। গবাদি পশু, পানের বরোজের ক্ষতি হলেও অর্থ সাহায্য মিলবে। মৎস্যজীবীরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন। আমি অনুরোধ করব সকলে এখানেই থাকুন। কেউ সাহায্য করুন না করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন রয়েছেন ততদিন কোনও চিন্তা করবেন না।’ এরপর জলপথে পাথরপ্রতিমার একাধিক জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন অভিষেক। ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি। দুর্গতরা সকলে খাবার, জল-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাচ্ছেন কিনা, সে সংক্রান্ত খোঁজখবরও নেন।