অবশেষে ভুল স্বীকার! গতকাল ভোটে বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে বসেছিল সিপিএম। সেখানেই তাঁরা ভোটে এরকম বিপর্যয়ের আসল কারণ খুঁজে বের করলেন। অতিরিক্ত তৃণমূল বিরোধিতার জেরেই এই হাল বলে মনে করছেন কমরেড রা। এর পাশাপাশি দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপেও মেতে উঠল আলিমুদ্দিন। জেলা নেতৃত্বের তোপের মুখে পড়ল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিপর্যয়ের দায়ভার চাপিয়ে দেওয়া হল শীর্ষ নেতৃত্বের কাঁধেই।
তবে ভোটের ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে পার্টি যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতার রাস্তা থেকে সরে আসছে, এই বৈঠক থেকে সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। সরকারের জনমুখী প্রকল্পের বিরোধিতা পার্টির বিরুদ্ধে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই আগের মতোই তীব্র বিরোধিতা নাকি নতুন পথের সন্ধান? এই প্রশ্নে সরকারের বিরোধিতায় নরম মনোভাব নিয়েই অন্যপথের সন্ধান করতে হবে মনে করছে সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব।
ভোটের পর গতকাল প্রথম রাজ্য কমিটির সভা বসেছিল আলিমুদ্দিনে। বৈঠক যে উত্তাল হবে তা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। তবে সেই সভা ভার্চুয়াল হলেও, তা যে মেছো হাটে পরিণত হবে তা ভাবা যায়নি। তাই হলো। শনিবার সিপিএম রাজ্য কমিটির সভা কার্যত মেছো হাটেই পরিণত হয়। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের তীর ছুটে আসতে থাকে। নিচুতলায় আলোচনা না করে কেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত, সেই নিয়েও জেলা নেতৃত্বের তোপের মুখে পড়ে আলিমুদ্দিন।
এই জোট গঠনের ক্ষেত্রে যে নেতৃত্ব একতরফা ভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাদেরকেই বিপর্যয়ের দায়ভার নিতে হবে বলে দাবি তুললেন সিপিএমের একাধিক জেলা নেতা। জেলা নেতৃত্ব আক্রমণের নিশানা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র ও মহম্মদ সেলিমরা ছিলেন বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন। তবে তোপের মুখে দাঁড়িয়েও মাথানত করতে নারাজ রাজ্যের শীর্ষ নেতারা। আগ বাড়িয়ে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা কংগ্রেসের সঙ্গে আলিমুদ্দিন জোট ভাঙতে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।