ফের চাঞ্চল্য ছড়াল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এবার মূর্তি ভাঙার বিষয় নিয়ে শোরগোলের সূত্রপাত ঘটল। শান্তিনিকেতনের মূল ক্যাম্পাসের কালোবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ভেঙে গেছে দীর্ঘদিনের পুরনো হংসমূর্তি। কে বা কারা সেটি ভাঙল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসকে। বহিরাগত তো দূর, সাংবাদিকদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু তার মধ্যেই এই প্রাচীন মূর্তি কীভাবে ভাঙল তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। সরকারি ও বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের ঘেরাটোপে এই মুহূর্তে কলাভবনের ঐতিহ্যবাহী কালোবাড়ি সংস্কারের কাজ চলছে। আর সেই কাজ চলাকালীন মূর্তিটি ভেঙেছে।
প্রসঙ্গত, বহিরাগতের প্রবেশের কারণে এই ঘটনা নাকি কাজ চলাকালীন অসতর্কতার জন্য মূর্তি ভাঙল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা বিভাগ। তিন ফুট উচ্চতার হংসমূর্তিটি কলাভবন ও সঙ্গীত ভবনের মাঝে কালোবাড়ির সামনে ছিল। সেটি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বছরের পুরনো বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, এমন একটি মূর্তি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। ক্যাম্পাসে যত্রতত্র রয়েছে বিভিন্ন স্থাপত্য ও ভাস্কর্য। পড়ুয়াদের অনেকেও পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন স্থাপত্য গড়ে তুলেছেন ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যকে আরও বাড়িয়ে তোলা একটি স্থাপত্যের মধ্যে ছিল এই হংসমূর্তি। তা ভেঙে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রবল ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা।